২০০৯ সালে মারা যান 'কিং অব পপ' খ্যাত সংগীতশিল্পী মাইকেল জ্যাকসন। তার আগে ৬৫ জনের কাছে প্রায় ৫০০ মিলিয়ন ডলারেরও (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৬ হাজার কোটি) বেশি ঋণে ছিলেন তিনি। গত ২১ জুন, লস অ্যাঞ্জেলস কাউন্টি সুপিরিয়র কোর্টে জ্যাকসনের এস্টেটের নির্বাহকদের দায়ের করা একটি পিটিশনে এই তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।
এ তথ্য জানিয়েছে গতকাল রোববার মার্কিন গণমাধ্যম দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস। জানা গেছে, পিটিশনে জ্যাকসন যে আর্থিক অস্থিরতার মধ্যে ছিলেন তা তুলে ধরা হয়, যার মধ্যে গায়কের বাতিল করা লন্ডনের কনসার্ট ‘দিস ইজ ইট’-এর প্রোমোটার এইজি লাইভের ৪০ মিলিয়ন ডলার দায় রয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, মাইকেল জ্যাকসনের মৃত্যুর সময়, ৫০০ মিলিয়নেরও বেশি ঋণ এবং পাওনাদারদের দাবি ছিল, যার মধ্যে কিছু ঋণ অত্যন্ত উচ্চ সুদের হারে নেয়া হয়েছিল এবং কিছু ঋণ খেলাফ করা হয়েছিল। এগুলো মাইকেল জ্যাকসনের জন্য বোঝা ও প্রচণ্ড মানসিক চাপের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছিল।
মাইকেল জ্যাকসন তার অমিতব্যয়ী জীবনযাত্রার জন্য পরিচিত ছিলেন এবং অবাধে অর্থ ব্যয় করতেন। তিনি তার বেশির ভাগ টাকা খরচ করতেন দান, উপহার, বেড়ানো, ব্যক্তিগত বিমান আসবাবপত্র চিত্রকর্ম ও জুয়েলারির পেছনে। বেহিসাবি টাকা খরচের কারণে ঋণের ভারে জর্জরিত হয়ে পড়েন তিনি।
মন্তব্য করুন