ঈদ উপলক্ষে নাগরিক টেলিভিশনের পর্দায় এসেছিলেন বর্তমান সময়ের আলোচিত অভিনেত্রী শবনম বুবলী। এরই মধ্যে প্রথম পর্ব সম্প্রচারিত হয়েছে টেলিভিশনটি। সেখানে নিজের, শাকিব খান-অপু বিশ্বাস এবং দুই ভাই বীর ও জয়কে নিয়ে নানা ধরনের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন নায়িকা।
অনুষ্ঠানে বুবলীর ‘মায়া’ এবং ‘দেয়ালের দেশ’ নিয়ে কথা বলেন সঞ্চালক। ‘দেয়ালের দেশ’-এর পোস্টার, ট্রেলারে চমকপ্রদ দৃশ্যায়ন এবং রহস্য নিয়ে জানতে চাওয়া হয় অভিনেত্রীর কাছে। উত্তরে বুবলী বলেন, ‘পুরো সিনেমাতেই খুব ভিন্নভাবে ডিজাইন করা হয়েছে। আমরা চাই, দর্শক সিনেমা হলে গিয়েই গল্পটা জানুক। এই থ্রিল, রোমান্স হাহাকার—সব মিলেমিশে একাকার হয়েছে “দেয়ালের দেশ”-এ। আর লাশঘরের আলোচিত সেই দৃশ্য নিয়ে সবাই খুব আবেগপ্রবণ। আমার বোনেরা বলেছে, তারা এই দৃশ্য নিতে পারছে না। অন্যদিকে “মায়া” সম্পূর্ণ ভিন্নধারার একটি সিনেমা।’
শাকিব খানের ‘রাজকুমার’ এবং ‘দেয়ালের দেশ’-এর মধ্যে প্রতিযোগিতা প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, ‘প্রথমত বলতে চাই, এখানে কোনো প্রতিযোগিতা হচ্ছে না। আর শাকিব খানের মতো নায়কের সিনেমা হল বেশি পাবে, সেটাই স্বাভাবিক। আমার মনে হয়, সবাই সব কটি সিনেমাই দেখুক।’ ‘প্রিয়তমা’ আর ‘রাজকুমার’-এর মধ্যে শাকিবের কোন লুক পছন্দ, প্রশ্নের জবাবে বুবলী বলেন, ‘আমার কাছে ‘প্রিয়তমা’র লুকই বেশি পছন্দ হয়েছিল। তাকে দাড়িতে খুব ভালো লাগে। আমি অনেকবার বলেছি।’
শাকিব খানকে বুবলী ভালোবাসেন কি না, প্রশ্নের উত্তরে বুবলী বলেন, ‘আগের মতো ভালোবাসা আছে কি না, জানি না। তবে তাঁকে ভালোবাসি। মায়াটা আগের মতোই আছে। কিছু কিছু অভিমান থাকে। দুজনের মধ্যে আলোচনা হয় না বলেই অনেক ভুল-বোঝাবুঝি হয়। বাইরের মানুষের কথা শুনে আপন মানুষের সঙ্গে আলোচনা না করেই প্রতিক্রিয়া দেখান তিনি।’
এভাবেই কি কাটিয়ে দেবেন সারা জীবন? বুবলীর উত্তর, ‘একদমই! আর কোনো প্রেম, সম্পর্ক আমার ধারেকাছে কোনো দিনই ভিড়তে পারবে না; অর্থাৎ বিয়ে-প্রেম—এসব নিয়ে আর কখনোই আমি ভাবতে পারব না। শুধু আমি আমার কাজ, সন্তানকে গুরুত্ব দিচ্ছি। ভবিষ্যতে এই সিদ্ধান্ত কোনো দিনই বদল হবে না। শাকিব খান ছাড়া দ্বিতীয় পুরুষ হিসেবে কাউকে কখনোই ভাবতে পারি না। এখন সন্তানের জন্য অনেক কিছুই মানিয়ে নিচ্ছি।’
বুবলী শাকিবের স্ত্রী, এটার কোনো প্রমাণ নেই, সমালোচকদের এই মন্তব্যের জবাবে নায়িকা বলেন, ‘আমাদের বিয়ে পুবাইলে শাকিব খানের বাড়িতেই হয়েছে। কাজি ছিলেন। আমাদের বিয়ের বয়স ৬-৭ বছর। পুবাইলে আমাদের সংসার ছিল। ওখানকার সবাই জানেন। কাছের ডিরেক্টর-প্রোডিউসার সবাই জানেন। আর যা ছড়ানো হচ্ছে, তার আসলে কোনো ভিত্তি নেই। সবটাই গুজব।’
মোহরানার প্রসঙ্গে বুবলী বলেন, বিয়ের কিছুদিন পরই মোহরানা শোধ করে দিয়েছেন শাকিব। বিয়ের পর তাজমহল-আজমির শরিফ যাওয়া হয়েছে। আমরা যেহেতু ব্যস্ত থাকি, সেহেতু যখন একসঙ্গে বসে খাবার খেতাম, সেই ক্ষণটিও আমাদের জন্য অনেক সুন্দর সময় হয়ে যেত।’
অনুষ্ঠানে আসে পরীমনির প্রসঙ্গও। বুবলী বলেন, ‘একজন মায়ের আবেগ, সন্তানকে নিয়ে সংগ্রামের গল্প যদি কারও সঙ্গে মিলে যায়, আর সেটা নিয়ে যদি কেউ কটাক্ষ করেন, সেটা খুবই দুঃখজনক ব্যাপার।’
মন্তব্য করুন