নৃত্যে শিশু কোর্সের শিক্ষার্থীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ করলো বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফাইন আর্টস (বাফা)। শুক্রবার (৩ মার্চ) ২০২১-২২ সালের শিক্ষার্থীদের হাতে সনদপত্র তুলে দেন প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ফারহানা চৌধুরী বেবী।
এ সময় ফারহানা চৌধুরী বেবী বলেন, বাফা শুধু বিষয়ভিত্তিক শিক্ষা দেয় না। নৈতিক শিক্ষা দেওয়ারও চেষ্টা করে।
তিনি আরও বলেন, বাফা শতভাগ দিয়ে চেষ্টা করে শিক্ষার্থীদের শেখাতে। করোনাভাইরাসে প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও থেমে থাকেনি শিক্ষার্থীদের শেখানো। শিক্ষকরা অনলাইনে ক্লাস নিয়েছেন।
বাফা যখন আবার চালু হয়েছে বাচ্চারা তাদের প্রিয় প্রতিষ্ঠানে ফিরতে শুরু করেছে বলে জানান ফারহানা চৌধুরী। তিনি আশা করেন বাফা আবার শিক্ষার্থীদের কলরবে মুখরিত হবে।
অভিভাবকরা জানান করোনাভাইরাসের কারণে বাফা বন্ধ থাকায় শিশু কোর্স সম্পন্ন এবং এর সনদপত্র নিয়ে অনিশ্চয়তায় ছিলেন। কিন্তু বাফা আবার চালু হয়েছে এবং কর্তৃপক্ষ তাদের দায়িত্ব সম্পন্ন করেছে এতেই তারা অনেক খুশি। তারা বাফার সাথে ছিলেন, আছেন এবং ভবিষ্যতেও থাকবেন বলে প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
পাশাপাশি শিশু কোর্সের শিক্ষক ওয়াহিদ নঈমকে ধন্যবাদ এবং কৃতজ্ঞতা জানান অভিভাবকগণ। যার অক্লান্ত পরিশ্রম, ধৈর্য, আন্তরিকতা এবং ভালোবাসায় বাচ্চারা নাচ শিখতে পেরেছে এবং উত্তীর্ণ হয়ে সার্টিফিকেট কোর্স করার সুযোগ পেয়েছে।
সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন নৃত্যশিক্ষক তাবাসসুম আহমেদ, নৃত্যশিক্ষক ওয়াহিদ নঈম, নিশাত চৌধুরী, রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী গোলাম সারোয়ারসহ অনেকে।
উল্লেখ্য,২০০৯ সালে কাকলি স্কুলে শুরু হয় বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফাইন আর্টসের (বাফা) যাত্রা। একুশে পদকপ্রাপ্ত নৃত্যগুরুমাতা রাহিজা খানম ঝুনু এটি প্রতিষ্ঠা করেন। যিনি সংস্কারাচ্ছন্ন সমাজের চোখরাঙানিকে তুচ্ছ করে মনেপ্রাণে ভালোবেসে গেছেন এই শিল্পকে। আন্দোলন করেছেন দেশের মূলধারার সংস্কৃতিকে বাঁচিয়ে রাখতে। আগামী প্রজন্ম যাতে বিপথগামী না হয়, সুস্থধারার সংস্কৃতি চর্চা করতে পারে সেই লক্ষ্য থেকে নৃত্যগুরুমাতা চালু করেন বাংলাদেশ একাডেমি অফ ফাইন আর্টস। একুশে পদকপ্রাপ্ত এই শিল্পীর মৃত্যুর পর তার যোগ্য উত্তরসূরী ফারহানা চৌধুরী বেবী মায়ের স্বপ্নকে বাঁচিয়ে রাখতে শত প্রতিকূলতার মধ্যেও এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন প্রতিষ্ঠানটিকে।
মন্তব্য করুন