আর পাঁচটা দিনের মতোই শুরু হয়েছিল দিনটা। অন্য দিনের মতো ভোরে নিজের এলাকার গলিতে হাঁটতে বেরিয়েছিলেন তিনি। আচমকা ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা যান এসে ধাক্কা দেয় তাকে।
ছিটকে পড়েন বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী শাহনাজ খুশি। মুহূর্তে কপাল কেটে রক্তারক্তি। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চোখের ওপরে ১০টা সেলাই পড়ে তাঁর!
একটু ধাতস্থ হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “এই যে যত্রতত্র কুপিয়ে জখম, ট্রেনে, বাসে, রিক্সা, প্রাইভেট গাড়িতে দিনে রাতে ছিনতাই, অস্ত্র-সহ যে কোনও প্রতিষ্ঠানে ঢুকে দখলবাজি, গাড়ির দৌরাত্ম্যে অহরহ সড়ক দুর্ঘটনা, সন্ধ্যার পরে রাস্তাঘাট-সিগন্যালে পুলিশ বা ট্রাফিক না থাকা, রাস্তায় অবরোধ-মারামারি। তা হলে আমাদের সুরক্ষাটা কে দেবে?”
খুশির অধিকাংশ ছবি, নাটকের নায়ক চঞ্চল চৌধুরী। অভিনেতার খুব ভাল বন্ধু-ও তিনি। খুশি এই মুহূর্তে কথা বলার মতো অবস্থায় নেই। আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল চঞ্চলের সঙ্গে। তিনি বলেছেন, “পরশু দেখতে গিয়েছিলাম। আগামী কাল আবারও দেখতে যাব। বিষয়টি খুবই কষ্টের এবং দুঃখজনক।”
প্রাণ নিয়ে ফেরার পরে সকলের আগে ঈশ্বরেকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন শাহনাজ়। তিনি সহায় না হলে খুশি প্রাণে বাঁচতেন না, দাবি অভিনেত্রীর। একই সঙ্গে সাবধান করেছেন শহরবাসীদের। লিখেছেন, “মায়েরা-বাবারা ছোট্ট বাচ্চার হাত ধরে রাস্তা পার হয়ে স্কুলে আসেন। নানা প্রয়োজনে রাস্তায় যান।
তাদের সতর্ক করতে পোস্টটা দিলাম। আমি হয়তো ভেঙেচুরে বেঁচে গিয়েছি, কোনও বাচ্চা এ আঘাত নিতে পারবে না!” সেই সঙ্গে নিজের অবস্থা নিয়েও শঙ্কিত তিনি।
লিখেছেন, “ধাক্কা দিয়ে ফেলে দিয়ে বীরদর্পে চলে গিয়েছে! ওরা মেধাবী যান চালক, কারও জীবনের ক্ষতির তোয়াকা করে না! জানি না স্বাভাবিক চেহারায় ফিরব কি না। সেটা যদিও ফিরি, রক্তাক্ত অবস্থায় সেই পথে পড়ে থাকা সকালের ট্রমা অনেক কাল ভুলব না!”
মন্তব্য করুন