বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

হঠাৎ কী বার্তা দিলেন সোহেল রানা

বিনোদন ডেস্ক
  ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৩:১৯
ছবি-সংগৃহীত

ঢালিউডের একসময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মাসুদ পারভেজ সোহেল রানা অভিনয়ের পাশাপাশি তিনি একজন প্রযোজক ও পরিচালক ছিলেন। বর্তমানে তিনি অভিনয়  থেকে দূরে আছেন। তবে অভিনয়ে নাম লেখানোর আগেই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন এ ড্যাশিং হিরো। 

পরে সিনেমায় নিয়মিত হলে রাজনীতিতে অনিয়মিত হয়ে পড়েন সোহেল রানা। কয়েক বছর অভিনয়ে অনিয়মিত হতেই ফের সরব হন রাজনীতিতে। দীর্ঘ সময় সোহেল রানা সক্রিয় ছিলেন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে। 

ছাত্রজীবনে ময়মনসিংহের আনন্দমোহন কলেজে পড়ার সময় কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি ছিলেন তিনি। ১৯৬৫ সালে বৃহত্তর ময়মনসিংহ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক, ১৯৬৬ সালে পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের সহকারী সাধারণ সম্পাদক এবং ১৯৬৮ সালে সমগ্র পূর্ব পাকিস্তান ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। পরে যোগ দেন জাতীয় পার্টিতে। একসময় জাতীয় পার্টিও ত্যাগ করেন এ অভিনেতা।

সম্প্রতি ঘোষণা দিয়েছেন নতুন রাজনৈতিক দলের। প্রাথমিকভাবে দলটির নাম রাখা হয়েছে ‘বাংলাদেশ ইনসাফ পার্টি’ (বিআইপি), যাদের লোগোতে শোভা পেয়েছে শান্তির প্রতীক পায়রা। গত ৩ অক্টোবর রাজধানীর একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠক শেষে বর্ষীয়ান এ অভিনেতার সভাপতিত্বে দল গঠনের ঘোষণা দেওয়া হয়। 

এরপর থেকেই রাজনীতিতে সোহেল রানার পদার্পণ নিয়ে আলোচনা চলছে। তবে এরই মধ্যে ভক্তদের সতর্কবার্তা দিলেন অভিনেতা। জানালেন তার নাম ব্যবহার করে একধরনের প্রচার চালানো হচ্ছে। যেটির সঙ্গে তিনি সংশ্লিষ্ট নন।

বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড আইডি থেকে একটি পোস্ট করেন এ বর্ষীয়ান অভিনেতা। সেখানে তিনি লিখেছেন— আমাকে প্রধান অতিথি করে একটি নতুন পার্টি আত্মপ্রকাশ করতে যাচ্ছে, এ ধরনের একটি দাওয়াত নেওয়া অনেকের কাছে পৌঁছেছে। আমি তাদের সবার জ্ঞাতার্থে জানাতে চাই— এমন কোনো দাওয়াত আমি গ্রহণ করিনি অথবা ওই পার্টির সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। অনেকেই হয়তো ভুল বুঝতে পারেন, সে কারণে সবাইকে জানান দেওয়া।

এক ভক্ত লিখেছেন— ধন্যবাদ ভাইয়া, অনেক পোস্ট হয়েছে আমিও দেখেছি, কিন্তু আপনার আইডি থেকে পোস্ট হয়নি তাই সেটি ভুয়া। অন্য আরেক ভক্ত লিখেছেন— আপনি একজন সম্মানিত মুক্তিযোদ্ধা। আপনাকে সালাম। ডোরাকাটা দাগ দেখে বাঘ চিনা যায়।

উল্লেখ্য, বাংলাদেশের প্রথম পূর্ণাঙ্গ মুক্তিযুদ্ধের চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ সিনেমার প্রযোজক হিসেবে চলচ্চিত্রে আত্মপ্রকাশ করেন সোহেল রানা। সেই সিনেমার শুটিংয়ে অরিজিনাল অস্ত্র ব্যবহার করা হয়। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন এ অভিনেতা।

মন্তব্য করুন