শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

অ্যাসিড ছুড়ে মারার হুমকি পেয়েছেন বাঁধন

বিনোদন ডেস্ক
  ১২ আগস্ট ২০২৪, ১৭:৪২
ছবি- সংগৃহীত

বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনে ছাত্রদের পাশে ছিলেন আজ়মেরী হক বাঁধন। আন্দোলনরত ছাত্র আবু সইদের মৃত্যুর পরে রাস্তায় নেমেছিলেন অভিনেত্রী।

বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপসারণের দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছিল, সেখানেও যোগ দিয়েছিলেন বাঁধন। এ জন্য নাকি একের পরে এক খুনের হুমকি পেয়েছেন তিনি। ফেসবুকে একটি ভিডিয়োয় সেই অভিজ্ঞতা জানিয়েছেন বাঁধন।

ছাত্রদের উপর গুলির চালনার ঘটনার পরের দিনই সমাজমাধ্যমে প্রোফাইল ছবি কালো করে দিয়েছিলেন বাঁধন। তার পর থেকেই নাকি নানা ধরনের বার্তা আসতে থাকে তাঁর কাছে। বাঁধন বলেন, “ফেসবুকে প্রোফাইল ও কভার ছবির রং কালো করার পরেই বলা হতে থাকে, আমি সরকারের বিরুদ্ধে।

এর পরে আমি একটি স্টেটাস দিয়ে বলি, নাগরিক হিসেবে আমি এই দেশে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। এটা লেখার পর থেকে নানা মহলের ফোন পাই। আমায় এই নিয়ে বেশি কথা বলতে নিষেধ করা হয়।”

এর পরে ১ অগস্ট পথে নামেন বাঁধন। তাঁকে গ্রেফতার করা হতে পারে, এমনও নাকি বলা হয়। ভিডিয়োয় বাঁধন বলেন, “বলা হয়েছিল, আমাকে গ্রেফতার করা হবে, কারণ আমি রাষ্ট্রদ্রোহমূলক কাজ করেছি। এগুলি বলেও যখন লাভ হচ্ছিল না, তখন বলা হয় আমাকে গুলি করা হবে। এমনও বলা হয়, আমাকে অ্যাসিড ছুড়ে মারা হবে।

আমি তো অভিনয় করি। তাই আমাকে মেরে ফেলে কোনও লাভ হবে না! বরং অ্যাসিড ছোড়ার কথা বললে আমি হয়তো ভয় পাব। এও বলা হয়েছে, রাস্তায় পোশাক খুলে দেওয়া হবে, আমার বাড়িতে হামলা করা হবে।”

এই হুমকির পরে বাড়ির নিরাপত্তা বৃদ্ধি করেছেন বলেও জানান বাঁধন। কিন্তু সমস্ত বিপদ দেখেও বাঁধনকে আন্দোলনে শামিল হতে বলেন তাঁর বাবা। অভিনেত্রীর কথায়, “বাবাও বলেন, পড়ুয়াদের সঙ্গে আমার থাকা উচিত। কিন্তু হুমকি আসার পর থেকে বাবাও ভয় পেয়েছিলেন।

মা ও আমার মেয়ে খুব কান্নাকাটি করেছিল। ৪ অগস্ট কার্ফু শুরু হওয়ার পরে রাতে আমিও খুব কাঁদি। ভেবেছিলাম, তিনি (শেখ হাসিনা) সকলকে মেরে ফেলবেন। কিন্তু নিজে পালাবেন না।”

বাবা-মা ভয় পেয়েছিলেন বলে বোরখা পরে বেরোনোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাঁধন। তিনি বলেন, “আমাকে চিনতে পারলে তো আমার উপর হামলা করবে। তাই বোরখা পরে অনেকটা দূর অবধি পৌঁছে যাই।

৫ অগস্ট রাস্তায় দেখি লক্ষ লক্ষ মানুষ। বুঝতে পারি, আর ওরা মানুষকে কিছু করতে পারবে না। তার কিছু ক্ষণ পরেই তো আমরা সবটা জানতে পারি। সেনাপ্রধান বক্তব্য রাখেন। আনন্দে বোরখা খুলে পতাকা জড়িয়ে ধরি।”

মন্তব্য করুন