শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২

সাইফের ওপর হামলা নিয়ে যা বললেন তসলিমা নাসরিন

বিনোদন ডেস্ক
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৩৭

বাড়ির অন্দরে সইফ আলি খানের ওপর হামলা এক বাংলাদেশি নাগরিকের। পুরোটাই গল্প বলে ঠাহর হচ্ছে লেখিকা তসলিমা নাসরিনের। সেই গল্প বিশ্বাসযোগ্য হচ্ছে না লেখিকার। একগুচ্ছ প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। 

মঙ্গলবার সইফ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে যে ভাবে গটগট করে হেঁটে বাড়িতে প্রবেশ করেন, তা নিয়ে ইতিমধ্যেই জলঘোলা শুরু হয়েছে মহারাষ্ট্রের রাজনৈতিক মহলে। অনেকেই অভিনেতার এ ভাবে ফিরে আসায় প্রশ্ন তুলেছে।

সইফের বাড়িতে হামলার ঘটনায় একাধিক অসঙ্গতি ধরা পড়েছে তসলিমার চোখে। যে শরিফুলকে পাকড়াও করা হয়েছে অপরাধী হিসাবে, তাঁর সঙ্গে সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়া ব্যক্তির যে মিল নেই তা স্পষ্ট করেছেন তিনি। সইফ আলি ও করিনা কপূরের মতো খ্যাতনামী তারকা যে আবাসনে থাকেন সেখানকার এমন ঢিলেঢালা নিরাপত্তা ব্যবস্থা! 

সেটাও খুব একটা বিশ্বাসযোগ্য হয়নি লেখিকার। সমাজমাধ্যমে তিনি লেখেন, ‘‘সইফ আলি খানের কোনও গল্পই বিশ্বাসযোগ্য মনে হচ্ছে না। যে লোকটাকে ধরা হয়েছে, আর যে লোকটাকে সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখা গেছে, তারা এক লোক বলে মনে হচ্ছে না। 

বিখ্যাত মানুষদের আবাসনে কোনও নিরাপত্তারক্ষী নেই, বিশ্বাস করা যায় না। সবচেয়ে বেশি অবিশ্বাস্য, সাইফকে ছুরিকাঘাত করার পর বিল্ডিং থেকে নির্বিঘ্নে চোর বাবাজি বেরিয়ে গেল। হেঁটে ১১ তলার সিঁড়ি পার হল, গেট পার হল। না দারোয়ান, না সইফের বাড়ির কোনও কাজের লোক, কেউ এসে তাকে আটকাল না।’’

এমন একটা ঘটনায় ৮ বছরের ছেলে তৈমুর বাবাকে নিয়ে গেল হাসপাতালে, কোথায় ছিলেন স্ত্রী করিনা? এই প্রসঙ্গে তসলিমা লেখেন, ‘‘সইফকে হাসপাতালের পথে সঙ্গ দিতে হল ৮ বছর বয়সি তৈমুরকে। তা-ও আবার অটোরিকশায়। করিনা অথবা কোনও আত্মীয় বা প্রতিবেশী কেউ গাড়ি চালিয়ে নিয়ে গেল না হাসপাতালে, বিশ্বাসযোগ্য নয়। 

সইফের মেরুদণ্ডের খুব কাছে নাকি আড়াই ইঞ্চি গভীর পর্যন্ত ঢুকে গিয়েছিল ছুরি। অস্ত্রোপচার হয়েছে দীর্ঘ ছ’ঘণ্টা, সেরিব্রোস্পাইনাল ফ্লুইড বেরিয়ে গিয়েছিল, আইসিইউতেও ছিলেন। যদিও চার দিন পর সইফকে দেখে মনে হয়নি তাঁর আদৌ কিছু হয়েছে। ঘটনাটা যখন পাবলিক করা হয়েছে, তখন প্রাইভেসি রক্ষা করার নামে মুখে কুলুপ আঁটা তো ঠিক নয়।’’

সইফকে কি বাইরের কেউ ছুরি মারেন না কি ঘরের কেউই আঘাত করেছেন! যাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তিনি আদৌ অপরাধী কি না, সেই নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন লেখিকা। শেষে সংযোজন, ‘‘এ সব তথ্য পুলিশের থেকেও বেশি জানেন যিনি, তিনি সইফ।’’

মন্তব্য করুন