বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

স্বামী হিসেবে সৌম্য একদম নিখুঁত মানুষ

বিনোদন ডেস্ক
  ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০০:১৮
ছবি-সংগৃহীত

বছর দুয়েকের প্রেমপর্ব। ২০২৩ সালের ২ ডিসেম্বরে বাগ্দান। তার দিন কয়েকের মাথায় বিয়ে সারেন সন্দীপ্তা সেন। টেলিভিশনের জনপ্রিয় মুখ। অনেকেই ভেবেছিলেন, কোনও নায়কই হবেন এই নায়িকার জীবনসঙ্গী।

তবে গতে বাঁধা ধ্যানধারণায় হাঁটতে ভালবাসেন না সন্দীপ্তা। চাকুরীজীবী, বলা ভাল এক প্রযোজনা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তার সঙ্গে বিয়ে সারেন অভিনেত্রী। দেখতে দেখতে বাগ্দানের বছরপূর্তি হল তাঁদের। এই এক বছরে একে অপরকে যতটা না বুঝেছেন, স্বামীকে নিয়ে সন্দীপ্তার উপলব্ধি বেশি। অভিনেত্রী বললেন, ‘‘এক বছরে এটাই বুঝেছি, একে অপরকে ছাড়া থাকতে পারব না।’’

একটা বছর যে সৌম্যের সঙ্গে ভাল কেটেছে সে কথাই জানালেন অভিনেত্রী। এই ভাল থাকার পিছনে স্বামী সৌম্যকে এগিয়ে রাখলেন সন্দীপ্তা। কারণ মনের মানুষ হিসাবে বরাবর এমনই সমঝদার মানুষকেই চেয়েছিলেন তিনি। আর তা-ই পেয়েছেন। তবে সৌম্য কি নিখুঁত যাকে বলে ‘পারফেক্ট’? 

সেই তত্ত্ব মানতে নারাজ সন্দীপ্তা। তাঁর কথায়, ‘‘আসলে পারফেক্ট বললে উল্টো দিকের মানুষটার উপর অহেতুক চাপ দেওয়া হয় বলে আমার মনে হয়। এতটুকু বলতে পারি, সৌম্য আর আমি দু’জনেই পরিণত মানুষ। অহেতুক চিৎকার করে ঝগড়া করি না। একে অপরের ভুল বোঝার চেষ্টা করি। 

কোথায় ত্রুটি হল, তা বোঝার চেষ্টা করি। সব মানুষের মধ্যে ভালমন্দ আছে। এখন হয়তো বুঝতে পারছি না, পরে বুঝতে পারব। কিন্তু আগে থেকেই কোনও কিছু দাগিয়ে দিতে বিশ্বাসী নই। তবে ভালবাসলে সবটাই সম্ভব।’’

স্বামীর যে গুণটা সব থেকে বেশি মনে ধরেছে অভিনেত্রীর, সেই প্রসঙ্গে জানান, এই এক বছরে কখনও রান্নাঘরে একা থাকতে দেননি। সব সময় সাহায্য করেন। রান্নাও তেমন ভাল করেন সৌম্য। স্বামীর প্রশংসা করতে করতেই বলেন, ‘‘ও ভীষণ ভাল। আমাকে কাজের জন্য যেমন উৎসাহ দেয়, তেমনই প্রয়োজনে বুঝিয়েও দেয়।’’ 

তবে স্বামীকে তুমি না, বরং তুই বলেই ডাকেন। যদিও সৌম্য তুমি সম্বোধনেই বিশ্বাসী। সন্দীপ্তার কথায়, ‘‘আমি যাদের নিজের মনে করি তাদের তুই বলে ডাকি। মাকেও কখনও কখনও তুই বলি। 

ভালবাসার বহিঃপ্রকাশ বলতে পারেন।’’ সবে পথ চলা শুরু করছেন তাঁরা কিন্তু ঝগড়াঝাটি কি একদমই নেই? ঝগড়া হলে কী ভাবে মান ভাঙান? শুনেই সলজ্জ হাসি সন্দীপ্তার কথায়, ‘‘সেটা ব্যক্তিগত বলব না। তবে আমাকে ভীষণ যত্ন করে রাখে।’’

মন্তব্য করুন