শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

রোম্যান্স আর ভালো লাগে না, এবার বিয়ে করো

বিনোদন ডেস্ক
  ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫১
ছবি-সংগৃহীত

‘খাদান’-এ তাঁর ঘাড় ছোঁয়া ঢেউ খেলানো চুল। পরিপাটি করে সিঁথি কেটে আঁচড়ানো। সঙ্গে একমুখ দাড়ি-গোঁফ। কিন্তু শুক্রবার চুলের সেই পারিপাট্য, ‘পুষ্পা’ লুক উধাও। দেবের চুলে এখন ক্রু কাট। তবে দাড়ি-গোঁফের জঙ্গল বর্তমান। এটা কি দেবের পরের ছবির লুক? প্রযোজক-অভিনেতার কথায় তার বিন্দুমাত্র উল্লেখ নেই। 

কিন্তু ‘খাদান’-এর ‘হায় রে বিয়ে’ গানমুক্তিতে এসে বিয়ে না করার কারণ আভাসে বুঝি ফাঁস করেই দিলেন অভিনেতা-রাজনীতিবিদ! যাঁরা বিয়েকে ‘দিল্লি কা লাড্ডু’ বলেন, সুজিত রিনো দত্ত পরিচালিত ছবির এই গান যেন তাঁদের জন্যই তৈরি। অনুষ্ঠান মঞ্চে দেব সে কথা স্বীকারও করে নিলেন। দেব বললেন, “আমার প্রযোজনা সংস্থার অফিসে যাঁরা বিবাহিত তাঁরাই এই গানটি গাইছেন।” অর্থাৎ, বিয়ের পর কী কী গেরো তা-ই এই গানের বিষয়।

এই জন্যই কি দেব এখনও পর্যন্ত বিয়ে থেকে শত হস্ত দূরে? এই প্রশ্নের জবাবে ‘খাদান’-এর নায়ক হাজার ওয়াটের হাসি হেসে বিষয়টি ওখানেই শেষ করে দিলেন। তাঁর পাশে তখন ছবির পরিচালক দুই অভিনেত্রী বরখা বিস্ত্, স্নেহা বসু, অনির্বাণ চক্রবর্তী, সুরকার নীলায়ন চট্টোপাধ্যায়, স্যাভি, কণ্ঠশিল্পী জুন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুদীপ্ত। প্রত্যেকে দুলে দুলে হাসছেন!

১৪ বছর পরে এই ছবি দিয়ে আবারও জুটিতে দেব-বরখা। ‘হায় রে বিয়ে’ গানে তাঁরা এবং যিশু সেনগুপ্ত-স্নেহা জুটিতে। দীর্ঘ দিন পরে দেবের বিপরীতে অভিনয় করে স্বাভাবিক ভাবেই উচ্ছ্বসিত বরখা। তিনি ভাঙা বাংলায় বলেছেন, “১৪ বছর আগে আমরা রোম্যান্স করেছিলাম। এ বার বিয়ে হল।” কথা ফুরনোর আগেই নায়কের চোখ কপালে। অভিনেত্রীকে ফিসফিসিয়ে শুধরে দিলেন, “আরে! পর্দায় বল।” 

শুনে হাসতে হাসতে নায়কের গায়েই গড়িয়ে পড়েছেন বরখা। জানিয়েছেন, প্রেম, বিয়ে— সবটাই তাঁরা পর্দায় করেছেন। তার পরেই গম্ভীর গলায় জানিয়েছেন, তাঁর নায়ক আরও পরিণত। প্রযোজক দেবের চোখে কিছুই ফাঁকি দেওয়া যায় না। জুটির টিপ থেকে লিপস্টিকের রং— সব নখদর্পনে। একটু এ দিক ও দিক দেখলেই সকলের আগে তিনি হাঁক দিতেন। এ-ও বলেছেন, “এত কিছুর পরেও কিন্তু দেবের সারল্য কমেনি।”

অনির্বাণ ছবিতে আদিবাসী চরিত্র ‘মাণ্ডি’। স্নেহা যিশুর বিপরীতে। উভয়েই দেব এবং পরিচালককে আন্তরিক ধন্যবাদ জানিয়েছেন, এই ধরনের চরিত্রে তাঁদের ভাবার জন্য। স্যাভি, নীলায়নও একই ভাবে কৃতজ্ঞ প্রযোজক দেবের কাছে। পরিচালক সুজিতের দাবি, দেব সুযোগ না দিলে তাঁর এই স্বপ্নের ছবি কোনও দিন তৈরি হত না। 

দেব কার কাছে কৃতজ্ঞ? প্রযোজক কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন, সহ প্রযোজক নিসপাল সিং রানেকে। তাঁর কথায়, “একটা ফোন করেছিলাম। রানেদা জানতে চেয়েছিলেন, কবে ফ্লোরে যাব। ছবি মুক্তির পথে। সুরিন্দর ফিল্মস থেকে এখনও ছবির বাজেট জানতে চাওয়া হয়নি!”

উপস্থিত সংবাদমাধ্যমের থেকে তত ক্ষণে আবদার, সদ্য মুক্তি পাওয়া গানের তালে নাচতে হবে, ছবির সংলাপ বলতে হবে নায়ককে। দেব কোনও দিন সাংবাদিকদের ফেরাননি। এ দিন মঞ্চে উঠে মাইক হাতে বলে উঠলেন, “পরিবার লিয়ে আছি বলে কী ভাবেছিস, অ্যাকশনটা ভুলে গেছি! উটা আমারই জন্য।” 

তার পরেই দাবি, “বিশ্বাস করুন, আমার কোনও দুঃখ নেই, আক্ষেপ নেই। দর্শক যা দেখতে চান আমি সেই ধরনের ছবি বানাই। এটা আমার কর্তব্য।” তবে ভাল বাংলা ছবির মানদণ্ড যে এখনও জোরালো গল্প, এ কথাও জানাতে ভোলেননি।

এ দিনের অনুষ্ঠানে আসতে পারেননি যিশু। তিনি মুম্বইয়ে শুটিংয়ে ব্যস্ত। কিছু দিন আগে ছবির অন্য একটি গানের প্রচার অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত দেবকে ফোনে ধরেছিলেন তিনি। এ দিন যিশুকে অনুসরণ করলেন দেব। 

ফোনে ‘খাদান’ সম্পর্কে তাঁর মতামত নিলেন। তার পরেই বেফাঁস প্রশ্ন, “যিশুদা, শুনছি তুমি শাহরুখ খানের সঙ্গে অভিনয় করছ?” ও পারে জোরালো হাসি দেবের সহ-অভিনেতার। বললেন, “আমিও তেমনই শুনছি রে। কিন্তু এখনও কোনও চুক্তিপত্র আমার কাছে আসেনি।”

মন্তব্য করুন