৬ নভেম্বরের পর কথা বলা বন্ধ হয়ে গেল আমাদের। এখন দিনরাত্রি কাচের বাইরে থেকে উদ্বেগের চোখ নিয়ে মাকে দেখছি। আর পাঁচটা মানুষের মতোই আমাদের মা-মেয়ের সম্পর্ক। একে অপরের আবেগকে ঘিরে আমার এই লম্বা জীবন।
‘পুরাতন’ করতে গিয়ে পুরনো বইয়ের গন্ধে ধুলোমাখা কবিতার কথায় মাকেই বার বার খুঁজে পেয়েছি। ‘পুরাতন’ ছবিতে শর্মিলা ঠাকুর আমার মা হয়ে যেমন পুরনোকে লালন করে রাখছেন, খুঁজে বেড়াচ্ছেন মুদিখানার দোকানের বিল; আমার মাকেও দেখেছি ঠিক সে ভাবেই প্রাচীনকে আঁকড়ে থাকতে।
মাকে যেমন কয়েক দিন আগেই মনে করিয়ে দিচ্ছিলাম মায়ের লেখা কবিতাগুলো। ছবিতেও আমি আমার মাকে অনেক পুরনো কথা মনে করিয়ে দিতে থাকি…
কষ্ট পাচ্ছে আমার মা। ক্রমাগত হাসপাতালে মাকে দেখতে দেখতে ঠিক করলাম, বাঙালির নতুন বছরে, মানে আগামী পয়লা বৈশাখে মা-মেয়ের গল্প ‘পুরাতন’ নিয়ে আসব। এই গল্প নির্ভরতার, আশ্রয়ের। আমার জীবনের সঙ্গে আচমকাই যেন আরও গভীর হয়ে মিশে গিয়েছে ‘পুরাতন’।
মুম্বইয়ে ‘পুরাতন’ ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে শর্মিলা ঠাকুরের সঙ্গে ফের সাক্ষাৎ হয়েছিল। ‘ভাবনা আজ ও কাল’ প্রযোজিত এই ছবি মা-মেয়ের সম্পর্কের কথা তুলে ধরে।
এই ছবির বিশেষ প্রদর্শনীতে শর্মিলার পাশে তাঁর দুই মেয়ে সাবা আর সোহা ছিলেন। ছিলেন সইফ আলি খান। ওঁদেরও মাকে নিয়ে নানা আবেগ। সইফ তো সিঁড়িতে বসেই মায়ের ছবি দেখল। সারা আর সোহা মায়ের অভিনয় নিয়ে উচ্ছ্বসিত। সেই ‘পুরাতন’ এ বার কলকাতায়।
মন্তব্য করুন