সময়টা মোটেই ভাল যাচ্ছে না সালমন খানের। একের পর এক সমস্যা যেন নাগপাশে বাঁধছে তাঁকে। ১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসার হত্যা মামলা এখনও পিছু ছাড়েনি। যার জেরে কুখ্যাত লরেন্স বিশ্নোই তাঁকে প্রায় প্রত্যেক দিন খুনের হুমকি দিচ্ছে। এ বার নতুন গেরো, ‘দ্য কপিল শর্মা শো’-এ রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে অবমাননা।
জানা গিয়েছে, এই শো-এর সঙ্গে সলমনের প্রযোজনা সংস্থা জড়িত, এমনই দাবি বঙ্গবাসী মহাসভা ফাউন্ডেশনের। সেই মর্মে তাঁরা আইনি নোটিসও পাঠান অভিনেতাকে। বুধবার ‘ভাইজান’-এর তরফ থেকে এক বিবৃতি দেওয়া হয়েছে। বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, তিনি বা তাঁর প্রযোজনা সংস্থা আর শো-টির সঙ্গে যুক্ত নন।
বলিউডে আন্তর্জাতিক মানের বাঙালি কবি অপমানিত। কপিল শর্মার সাম্প্রতিক শো দেখে প্রথম সমাজমাধ্যমে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন কবি শ্রীজাত।
তার অভিযোগ, কপিলের একটি শো-তে অভিনেত্রী কাজল এসেছিলেন। তিনি বঙ্গসন্তান। তাঁকে সামনে পেয়ে শো-এর অন্যতম কৌতুকাভিনেতা ক্রুষ্ণা অভিষেক কবিগুরুর ‘যদি তোর ডাক শুনে কেউ না আসে’ গানটির অপব্যাখ্যা করেছেন। তাকে সমর্থন জানিয়েছিলেন পরিচালক-সুরকার ইন্দ্রদীপ দাশগপ্ত–সহ বাংলার বহু খ্যাতনামী।
এর বেশ কিছু দিন পরে এই খবরে নতুন করে নড়ে বসেছে বলিউড এবং বাংলা সংস্কৃতি দুনিয়া। জানা গিয়েছে, নোটিস পাঠানো হয়েছে সলমনকে।
সেই নোটিসে বলা হয়েছিল, কপিল শর্মা শো-এর প্রযোজক তাঁরই প্রযোজনা সংস্থা। সেই দাবি নস্যাৎ করে এ দিন অভিনেতার তরফে জানানো হয়, সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণার বশবর্তী হয়ে এই আইনি পদক্ষেপ। সলমন এই শো-টি আর প্রযোজনা করেন না। ফলে, কোনও আইনি নোটিশ তাঁকে প্রভাবিত করতে পারবে না।
শ্রীজাত সেই সময় সমাজমাধ্যমে লিখেছিলেন, “সংশ্লিষ্ট বিষয়ের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আইনজীবীর সঙ্গে পরামর্শ করেই এই পোস্ট লিখছি, এটাও জানিয়ে গেলাম। আজ থেকে এক সপ্তাহ, অর্থাৎ ৭ নভেম্বর, ২০২৪-এর মধ্যে আমার দাবিগুলি গৃহীত, বিবেচিত এবং পূর্ণ না-হলে আমি আইনের পথে হাঁটব।”
তা হলে কি কোনও ভাবে এটি তাঁরই করা আইনি পদক্ষেপের ফলাফল? জানতে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল শ্রীজাতের সঙ্গে। কবির কথায়, “আমি বা আমরা কোনও আইনি পদক্ষেপ করিনি।”
মন্তব্য করুন