প্রেমে হারতে শেখেনি সে। ‘না’ শোনা তার অভিধানে নেই। জেদের বশে অন্যের সুখের সংসারে আগুন ধরাতেও সে দু’বার ভাবে না। নিজের লাস্য ও যৌন আবেদনে পছন্দের পুরুষকে কেড়ে নেওয়া তার কাছে কোনও ব্যাপারই নয়।
এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন প্রিয়ঙ্কা চোপড়া। ছবির নাম ‘অ্যায়েতরাজ’। চরিত্রের নাম ছিল সোনিয়া কপূর।
২০০৪ সালের সেই ছবি ব্যাপক সাড়া ফেলেছিল দর্শকের মধ্যে। এমন সাহসী চরিত্র পর্দায় দেখতে তখনও তেমন সাবলীল ছিলেন না তাঁরা। নিজেকে ভেঙেচুরে পর্দায় চরিত্র ফুটিয়ে তুলেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। তবে এই চরিত্রের জন্য বেশ কাঠখড় পোড়াতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। এমনকি মায়ের কাছে বকুনিও খেয়েছিলেন।
সোনিয়া কপূরের চরিত্রে এমন ভাবে প্রবেশ করেছিলেন, বাড়িতেও সেই রূপে দেখা যেত প্রিয়ঙ্কাকে। প্রায়ই ‘অ্যায়েতরাজ়’ ছবির চরিত্রের স্বরে কথা বলতেন। তেমনই অঙ্গভঙ্গি করতেন।
আদব কায়দাতেও এনেছিলেন পরিবর্তন। এই দেখে বেজায় চটেছিলেন প্রিয়ঙ্কার মা মধু চোপড়া। মেয়ের মধ্যে আকস্মিক এই পরিবর্তন দেখে মধু বলেছিলেন, “এই বাড়িতে ফিরতে হলে ওই চরিত্রটা বাইরে রেখে আসবে।”
কফির কাপ ধরার নির্দিষ্ট কায়দা ছিল সোনিয়া কপূরের। এক দিন একই ভঙ্গিতে হাতে কফির কাপ তুলেছিলেন প্রিয়ঙ্কা। এই দেখে চোখ রাঙিয়ে মধু বলেছিলেন, “এই মেয়ে। এখানে কোনও ক্যামেরা নেই কিন্তু।”
আর এক দিন নিজের ঘরে সোনিয়া কপূরের মতো যৌন আবেদনময় কথা বলছিলেন প্রিয়ঙ্কা। দেখে ফেলেন তাঁর মা। মেয়ের এই কাণ্ড ক্যামেরা বন্দি করে রাখেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে বেশ অস্বস্তিতে পড়েন প্রিয়ঙ্কা। বুঝতে পারেন, এ বার এই চরিত্র থেকে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে এই ঘটনার কথা বলেছেন প্রিয়ঙ্কা।
মন্তব্য করুন