শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২০ পৌষ ১৪৩১

কম টাকা পেলে আর কাজ করবে না কারিনা

বিনোদন ডেস্ক
  ২৩ অক্টোবর ২০২৪, ২০:৩৫
ছবি-সংগৃহীত

মহিলাদের শ্রমের মূল্য নিয়ে বড় বড় আলোচনা সভার আয়োজন করা হয় নানা জায়গায়। কিন্তু দিনের শেষে সমকাজে সমবেতনের দাবি পূরণ হয় না। নিত্য খেটে খাওয়া মহিলা শ্রমিকের ক্ষেত্রে এটি যেমন সত্য, তেমনই বলিউডের রঙিন নায়িকাদের ক্ষেত্রেও তা সমান ভাবে প্রযোজ্য। 

দীর্ঘ দিন ধরেই এই বিষয়ে দৃঢ় ভাবে নিজের মত প্রকাশ করেছেন করিনা কপূর খান। ফের একবার জোরালো ভাবে তুলে ধরলেন এই বৈষম্যের দিকটি। সম্প্রতি সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে করিনা দাবি করেন, “সমতা আদায়ের চেষ্টা করে যেতে হবে।”

দু’দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন রাজ কপূরের পৌত্রী করিনা। অভিনয় জীবনে তিনি শাহরুখ খান, সলমন খান, আমির খানের মতো তাবড় অভিনেতাদের বিপরীতে কাজ করেছেন। কিন্তু কোনও বারই খানেদের মতো পারিশ্রমিক পাননি। এমনকি তাঁর স্বামী সইফ আলি খানের সমপরিমাণ পারিশ্রমিকও পান না করিনা। 

শোনা যায়, ২০০৩ সালে ‘কভি অলবিদা না কহনা’ ছবিতে কাজ করার জন্য শাহরুখ খানের সমপরিমাণ পারিশ্রমিক দাবি করেছিলেন। ফলে কাজটি তাঁকে হারাতে হয়। শুধু তা-ই নয়, এই বিষয়ে প্রযোজক কর্ণ জোহরের সঙ্গেও তাঁর মনোমালিন্য হয় বলে শোনা যায়।

সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে করিনা দাবি করেন, সমপারিশ্রমিকের দাবিতে লড়াই চালাচ্ছেন তিনি। অভিনেত্রী বলেন, “না মানে, না। এখন যদি আমার মনে হয় চরিত্র অনুযায়ী বা আমার নিজের গুরুত্ব অনুযায়ী যথেষ্ট মূল্য পাওয়া যাচ্ছে না, তা হলে আমি কাজ করি না। আমি অপেক্ষা করব। আমি চেষ্টা করব যাতে ওঁরাও অনুভব করেন, আমি ঠিক পুরুষ সহ-অভিনেতাদের মতোই ভাল এবং গুরুত্বপূর্ণ।”

শুধু নিজের কথাই নয়, পরবর্তী প্রজন্মের অভিনেত্রীদের জন্যও পরামর্শ দিয়েছেন করিনা। তিনি বলেন, “না বলার অর্থ এই নয় যে তাঁরা আত্মবিশ্বাসী নন। বরং না মানে, না। 

যদি কোনও বিষয়ে নিজেকে স্বচ্ছন্দ না মনে হয়, সেটা পোশাক হোক, খাবার হোক বা যে কাজ করতে চাইছেন তা যদি নিজের মনের মতো না হয়, তা হলে প্রত্যাখ্যান করাই ভাল। আমার মনে হয়, না বলার মধ্যেও আত্মবিশ্বাস খুঁজে নেওয়া যেতে পারে।”

মন্তব্য করুন