শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

গর্জে উঠলেন কারিনা-প্রীতিরা, মমতার কাছে বিচার দাবি

বিনোদন ডেস্ক
  ১৬ আগস্ট ২০২৪, ১১:৪৭
ছবি- সংগৃহীত

বিচার কর-কাণ্ডের রেশ ছড়িয়ে পড়েছে মুম্বাইয়েও। একে একে বলিউডের তারকারাও কলকাতার এই ঘটনার বিরুদ্ধে মুখ খুলছেন। মৃত চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে তারাও শামিল হয়েছেন। 

অভিনেত্রী কারিনা কপূড় খান সমাজমাধ্যমে দাবি করেছেন, সময় বয়ে যায়। কিন্তু একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হতে থাকে। দিল্লির নির্ভয়া কাণ্ডের প্রসঙ্গও টেনে আনলেন তিনি। করিনা লেখেন, ১২ বছর পরেও একই ঘটনা। একই প্রতিবাদ। কিন্তু আমরা এখনও পরিবর্তনের অপেক্ষা করে চলেছি।

প্রীতি জিন্টা মহিলাদের সুরক্ষার দাবি করেছেন তার পোস্টে। তিনি লেখেন, অর্থনীতিতে সারা বিশ্বে আমাদের দেশ পঞ্চম স্থানে রয়েছে। আগামী নির্বাচনে পুরুষ ভোটারের সংখ্যা ছাপিয়ে যাবেন মহিলারা, এমনই মনে করা হচ্ছে। সময় হয়েছে যে মহিলাদের নিরাপত্তাকেই সবার আগে রাখতে হবে। খারাপ লাগে যখন দেখি, গ্রেফতারের পরে একজন ধর্ষকের মুখ ঢাকা থাকে। কিন্তু নির্যাতিতার ছবি ও নাম সব প্রকাশ্যে আনা হয়।

অমিতাভ বচ্চনের নাতনি নব্যা নভেলি নন্দাও তার পোস্টে লেখেন, আরও একবার ভয়ঙ্কর ধর্ষণের ঘটনা ঘটল। প্রথমত, ওই মেয়েটি এবং তার পরিবারের জন্য প্রার্থনা করি চলুন। আমাদের দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির পিছনে মহিলাদের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রয়েছে। কর্মস্থল, শ্রেণিকক্ষ ও বাড়ি — এই তিনটি জায়গাই তো নিরাপদ আমাদের জন্য। মহিলাদের ছোট করার মানসিকতার বিরুদ্ধে নারী-পুরুষকে এক হয়ে লড়তে হবে।

অভিনেত্রী রিচা চড্ডা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে একটি পোস্ট করেন। তিনি লেখেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আপনার থেকে দেশের মহিলারা সঠিক এবং নিরপেক্ষ তদন্ত ও বিচারের আশা করেন। আপনিই কিন্তু দেশের একমাত্র মহিলা মুখ্যমন্ত্রী।

এর আগে আরজি কর-কাণ্ডে মুখ খুলেছেন আলিয়া ভট্ট, আয়ুষ্মান খুরানা, স্বরা ভাস্কর, সামান্থা রুথ প্রভু, পরিণীতি চোপড়া ও কঙ্গনা রানাউত।

বরাবরই নিজের স্পষ্ট মতামত রাখেন টুইঙ্কল খন্না। এই প্রসঙ্গে তিনি লেখেন, পঞ্চাশটা বছর এই পৃথিবীতে, এই দেশে কাটিয়ে ফেললাম। আমি আমার মেয়েকে ঠিক সেগুলোই শেখাচ্ছি, যেগুলি আমিও ছোটবেলায় শিখেছি। একা পার্কে যেও না, স্কুলে যেও না, সমুদ্রের ধারে যেও না। একা কোনও পুরুষের সঙ্গে কোথাও যেও না। তিনি যদি তোমার কাকু, ভাইয়ের বন্ধুও হন, তা-ও যাবে না। সকাল-সন্ধ্যা কখনও একা কোথাও যেও না। বিশেষ করে রাতে তো একদমই নয়। কখন যাবে, এটার চেয়েও বড় বিষয় হল একা যদি তুমি কোথাও যাও, ফিরে না-ও আসতে পারো।

মন্তব্য করুন