শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২

বেক্সিমকোর ১৬ কারখানার ঋণ ১২ হাজার কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ১৯:৪৪

বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের ৩২টি কারখানার মধ্যে ১৬টির কোনো অস্বিত্ব না থাকলেও এসব কোম্পানির নামে ১২ হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়েছে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন।

তিনি বলেন, ১২টি কারখানাকে ব্যবস্থাপনা কর্তৃকপক্ষ বন্ধ করেছে, যা সরকারের কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বর্তমানে সেখানে মাত্র ৩টি কারখানা চালু রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৩ জানুয়ারি) বিকালে সচিবালয়ে বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সংবাদ সম্মেলনে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় ও নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ড. এম সাখাওয়াত হোসেন এসব তথ‍্য জানান।

তিনি আরও বলেন, বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে অবস্থিত ৩২টি কারখানার বিপরীতে ২৯ হাজার ৯২৫ কোটি টাকাসহ বেক্সিমকো লিমিটেডের মোট ব্যাংক ঋণ বর্তমানে ৪০ হাজার কোটি টাকারও বেশি। এর মধ্যে শুধুমাত্র জনতা ব্যাংকের পাওনা ২৩ হাজার ২৮৫ কোটি ৪২ লাখ টাকা।

তিনি বলেন, ‘গত সরকারের লুটপাটের একটা উদারহরণ এটি। সর্বোচ্চ ব্যাংক লুট এটি।’

উপদেষ্টা বলেন, গত ২১ জানুয়ারি বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের কর্মচারী ও শ্রমিকরা গাজীপুরের শ্রীপুর মায়ানগর মাঠে জমায়েত হয়ে বন্ধের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করে কারখানাগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান। একই সঙ্গে তারা ঘোষণা দিয়েছিল যে, ২২ জানুয়ারি বিকাল ৩টার মধ্যে কারখানা খুলে না দিলে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক অবরোধসহ শাটডাউন কর্মসূচি গ্রহণ করবেন।

সাখাওয়াত বলেন, সরকার গত বছরের ২৪ নভেম্বর বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের বিরাজমান পরিস্থিতির কারণে পারিপার্শ্বিক শিল্প স্থাপনাদি ও জনজীবনে সৃষ্ট অভিঘাত পর্যালোচনা ও তৎপ্রেক্ষিতে করণীয় কার্যকর ব্যবস্থার সুপারিশ তৈরির জন্য ১১ সদস্য বিশিষ্ট 'বেক্সিমকো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কের শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের শ্রম ও ব্যবসায় পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি' গঠন করেছে।

এসময় বিগত কয়েক মাসে শ্রমিকদের বকেয়া বেতন পরিশোধ করার হিসাবও তুলে ধরেন উপদেষ্টা।

এছাড়াও আপদকালীন পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য অর্থ বিভাগ ৫০ কোটি টাকা এবং সরকারের কেন্দ্রীয় তহবিল থেকে ১০ কোটি টাকা সুদমুক্ত ঋণ বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান উপদেষ্টা।

তিনি আরও উল্লেখ করেন, অত্যধিক ঋণগ্রস্ত অবস্থায় কারখানাগুলো চালানোর জন্য কোনো ব্যাংকই তাদেরকে নতুন ঋণ দিতে পারছে না।

মন্তব্য করুন