দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে একদিনে রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হয়েছে। ৭১টি ট্রাকে ১ হাজার ৮১৮ টন আলু দেশে আনা হয়েছে, যা বন্দরটির ইতিহাসে একদিনে সর্বোচ্চ আমদানির রেকর্ড।
ফলে দেশের বাজারে আলুর দাম কমে গেছে। একদিন আগে আলু ৫৫-৫৭ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলেও বর্তমানে দাম ৫১-৫৩ টাকা কেজি।
হিলি বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, কাটিনাল ৫০, সাটল আলু ৫৫, বিলেতি ৬৫, গ্যানোলা ৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। যা গত দুদিন আগের চেয়ে কিছুটা কম।
হিলি বন্দর সূত্র জানায়, আলুর দাম সহনীয় পর্যায়ে ও সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে ৫ সেপ্টেম্বর থেকে আলু আমদানিতে ২৫ শতাংশ শুল্ক কমিয়ে ১৫ শতাংশ ও নিয়ন্ত্রণ শুল্ক প্রত্যাহার করে নেয় সরকার। বন্দর দিয়ে ডায়মন্ড ও কাটিনাল আলু আমদানি হচ্ছে।
হিলি বন্দর থেকে আলু কিনতে আসা পাইকাররা জানান, কয়েকদিন আগে আলুর দাম ছিল ৪৮ টাকা কেজি, যা ধীরে ধীরে ৫৭ টাকা পর্যন্ত পৌঁছেছিল। কিন্তু বৃহস্পতিবার একসঙ্গে এত বেশি আলু আসায় দাম কমে গেছে, এতে পাইকারদের জন্য কেনাকাটা সহজ হচ্ছে এবং তাদের ব্যবসার খরচও কমছে।
আলু আমদানিকারকরা জানিয়েছেন, দেশের বাজারে সরবরাহ স্বাভাবিক ও দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমদানি অব্যাহত থাকবে। তবে ভারতেই আলুর দাম বেশি হওয়ায় তাদের জন্য চাহিদা অনুযায়ী আমদানি করা কিছুটা কঠিন হচ্ছে।
হিলি স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, আলু আমদানি ও ছাড়ের পরিমাণ বেড়েছে, এবং গত বৃহস্পতিবার একদিনে সবচেয়ে বেশি ১ হাজার ৮১৮ টন আলু দেশে প্রবেশ করেছে, যা হিলি বন্দরটির জন্য একটি নতুন মাইলফলক।
হিলি বন্দরের আমদানিকারক নুর ইসলাম বলেন, দেশের বাজারে দাম স্বাভাবিক রাখতে আমদানিকারকরা ভারত থেকে বিপুল পরিমাণ আলু আমদানি করছে। যাতে দেশে আলুর দাম কমছে। শুক্রবার বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম বন্ধ থাকবে তাই বাজারে সরবরাহ ঠিক রাখতে গতকাল বৃহস্পতিবার রেকর্ড পরিমাণ আলু আমদানি হয়েছে। আলু আমদানি বাড়লে দাম আরো কমবে।
হিলি কাস্টমসের রাজস্ব কর্মকর্তা শফিউল ইসলাম বলেন, আমদানিকারকরা যাতে আলু আমদানি করে দ্রুত বাজারজাত করতে পারে সেজন্য কাস্টমসের সব প্রক্রিয়া দ্রুত শেষ করতে ব্যবসায়ীদের সবধরনের সহযোগিতা করা হচ্ছে।
মন্তব্য করুন