বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বুধবার, ১৫ জানুয়ারি ২০২৫, ১ মাঘ ১৪৩২

পাসপোর্ট অফিসে দুদকের বিশেষ অভিযান

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪:২২
ছবি-সংগৃহীত

লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ে অভিযান পরিচালনা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ‘দালাল ছাড়া সেবা মেলে না’ এমন অভিযোগে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। 

মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে দুদক চাঁদপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেনের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

দুদকের সহকারী পরিচালক মো. আজগর হোসেন বলেন, একজন সেবাগ্রহিতা অভিযোগ করেছেন লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট অফিসে পাসপোর্ট করতে দালালের মাধ্যমে না আসলে হয়রানির শিকার হতে হয়। 

পাসপোর্ট পেতেও লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হয়। ওই গ্রাহক দুদকের প্রধান কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে প্রধান কার্যালয়ের অনুমতিক্রমে আমরা লক্ষ্মীপুর পাসপোর্ট অফিসে অভিযান পরিচালনা করি।

তিনি আরও বলেন, অভিযানের সময় অফিস চত্বরের ভেতরে দালালের উপস্থিতি পাইনি। তবে আমরা প্রাথমিকভাবে দেখতে পেয়েছি সেবাগ্রহিতারা খারাপ ব্যবহারের শিকার হচ্ছেন। এ বিষয়ে সহকারী পরিচালককে দেখার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। 

কোনো দালালের মাধ্যমে সেবাগ্রহিতাদের যেন আসতে না হয়, এখানে এসে যেন কেউ বলতে না পারে যে আমরা মাধ্যম হয়ে এসেছি, এ ধরনের একটি নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি বলেন, অভিযোগ রয়েছে দালালের মাধ্যমে যেসব আবেদন করা হয় তাতে সুনির্দিষ্ট কিছু চিহ্ন থাকে। কিন্তু আমরা বেশ কিছু আবেদন যাচাই করে তা পাইনি। তবে দুই একটা নোট পেয়েছি। তা নিয়ে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে ডিএসবি প্রতিবেদনের জন্য আবেদনগুলোতে নোট রাখা হয়েছে।

এদিকে অভিযান চলাকালীন পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাবর উল আলমের পাসপোর্টের আবেদন জমা নেওয়ার কাজ করার তথ্য উঠে আসে।

এ বিষয়ে দুদকের সহকারী পরিচালক বলেন, অফিসের আদেশ অনুযায়ী পরিচ্ছন্নতা কর্মী বাবর পাসপোর্ট আবেদনগুলো যাচাইয়ের কাজ করছেন। আমাদের ডকুমেন্ট দেখানো হয়েছে।

লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক একেএম আবু সাঈদ বলেন, দুদকের এটি নিয়মিত অভিযান। তারা আমাদের কাছে তথ্য জানতে চেয়েছেন। আমরা কীভাবে কাজ করছি তা বলাও আমাদের দায়িত্ব। আমরা তাদেরকে সবকিছু বলেছি। 

তারা আমাদের বলেছেন সেবাগ্রহীতারা যেন হয়রানির শিকার না হয়, এজন্য আমাদের আন্তরিকভাবে কাজ করতে। আবেদনের কোনো কাগজপত্র ভুল থাকলে তা আমরা লিখে দিই। লোকের স্বল্পতা থাকায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে দিয়ে বাড়তি কাজ করানো হয়। কাজটি জটিল না হওয়ায় তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

মন্তব্য করুন