২০১৭ সালে নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর পদে নিয়োগ নেন। ২০১৯ সালে এমপিও ভুক্ত হন। এমপিও ভুক্তির ৬ বছর ধরে সরকারি বেতনসহ সবধরনের সরকারি সুবিধা ভোগ করছেন। কিন্তু একদিনও দায়িত্ব পালন করেননি তিনি।
ঝালকাঠি শহরের ৬ নম্বর ওয়ার্ড বাসন্ডা এলাকায় অবস্থিত আকলিমা মেয়াজ্জেম হোসেন ডিগ্রি কলেজের নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর লিমা আক্তার সরকারের কয়েক লাখ টাকা এভাবেই আত্মসাত করেছেন বলে সুস্পষ্ট অভিযোগ রয়েছে।
ক্ষমতার প্রভাবে কলেজের অধ্যক্ষকে ম্যানেজ করেই সকল কাগজপত্র ঠিক করে এভাবেই দায়িত্ব পালন না করেই বেতন-ভাতা ভোগ করছেন। এছাড়াও ইংরেজি, অর্থনীতি ও বাংলা প্রভাষক ৩জনের বিরুদ্ধে দ্বৈত চাকরিরও অভিযোগ রয়েছে।
যদিও তারা এমপিও ভুক্ত না হওয়ায় জীবন-জীবিকার তাগিদে অন্যত্র চাকরি করছেন বলেও জানান তারা। তবে সবারই অত্র কলেজের শিক্ষক হাজিরা খাতায় নাম এবং উপস্থিতির স্বাক্ষর রয়েছে।
কখনো একদিন এসে পিছনের বকেয়া স্বাক্ষর আদায় আবার কখনো অগ্রিম স্বাক্ষর দিয়ে থাকেন তারা। অধ্যক্ষের সঙ্গে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তারা এসব সুযোগ সুবিধা নিয়ে থাকেন। নিম্নমান সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর লিমা আক্তার ২০১৭ সালে নিয়োগ হলেও ২০১৯ সালে এমপওিভুক্তির পর থেকেই প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত থেকে নিয়মিত বেতন ভাতাদি উত্তোলন করছেন।
এমনকি সরেজমিন দেখা গেছে নিয়মিত হাজিরা খাতায় কেউ স্বাক্ষর করে দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে কলেজ থেকে বহিষ্কৃত একজন কর্মচারী বলেন, লিমা আক্তারের স্বামী অত্র কলেজের বিদ্যোৎসাহী সদস্য এবং বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী নেতা হওয়ায় বিধিবহির্ভূতভাবে নিয়োগ নিয়েছেন।
এ বিষয়ে লিমা আক্তারের বক্তব্য নিতে চাইলে কোনোভাবেই তার সংযোগ পাওয়া যায়নি। এছাড়াও প্রাক্তন অধ্যক্ষ খাদিজা খানম, দেবাশীষ ঘরামি তেমন কিছু বলতে রাজি হননি।
বর্তমান অধ্যক্ষ যুথিকা মন্ডল বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাইলে লিমা আক্তারের কলেজে হাজিরার সিসি ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ দেখতে চাইলে অস্বীকৃতি জানান।
জানা গেছে, বর্তমান অধ্যক্ষ ঝালকাঠি জেলা মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হওয়ায় তিনি লিমা আক্তারকে এ সুযোগ করে দিচ্ছেন।
মন্তব্য করুন