শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

চন্দনাইশে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে দুর্নীতি-ভূমি-দখলের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ৩১ আগস্ট ২০২৪, ২৩:১৬

চট্টগ্রাম জেলার চন্দনাইশ থানার ৬নং ইউনিয়ন পরিষদ বৈলতলীর চেয়ারম্যান এস এম সায়েমের বিরুদ্ধে অনিয়ম, দুর্নীতি ও ভূমি দখলের অভিযোগ তুলেছে এলাকার সাধারণ মানুষ। 

আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী এ নেতা দলীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে এলাকায় কোনো জনসমর্থন না থাকা সত্ত্বেও চেয়ারম্যান হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

বৈলতলী ও জাফরাবাদ এলাকায় যত প্রকারের টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, চুরি, ডাকাতি, ইউনুস মার্কেট বাস স্ট্যান্ড থেকে চাঁদাবাজি, সংগ নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন, মানুষের জন্ম নিবন্ধন জালিয়াতি, বিদ্যুৎ বিলের জালিয়াতি, অবৈধভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া, সরকারি ত্রাণ চুরি, গরু চুরি, বৃদ্ধ ভাতার টাকা মেরে দেওয়া ও মানুষের সম্পত্তি দখল করার অভিযোগ  আছে চেয়ারম্যান সায়েমের বিরুদ্ধে।

এছাড়াও রোহিঙ্গাদের জাল জন্ম সনদ দিয়ে পাসপোর্ট বানাতে সাহায্য করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। ঘুস খেয়ে অন্যায়ভাবে বিচার করা, বিচারের নামে উভয়পক্ষ থেকে টাকা খাওয়া, মানুষের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করা, মদ খেয়ে রাতে মানুষের বাড়িতে হামলা করা, বিভিন্ন নারীদের সাথে অবৈধ সম্পর্ক করার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

কিন্তু চেয়ারম্যান প্রভাবশালী আওয়ামী লীগের নেতা হওয়ায় এলাকার সাধারণ মানুষ কেউ তার বিরুদ্ধে ভয়ে মুখ খোলে না। গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হওয়ার পর সায়েম পলাতক রয়েছে।

সরকার পতন হবার পর থেকে এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে শুরু করেছে তার বিরুদ্ধে। গত ২৫ আগস্ট বৈলতলী ইউনিয়নের বাসিন্দা জাম্বীল হোসেন চৌধুরী চেয়ারম্যান সায়েমের বিরুদ্ধে একটি ভূমি দখলের মামলা করেন। এলাকার মানুষ অন্যান্য ভুক্তভোগীরাও তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা করার কথা জানায়।
 
তাকে অরিরেই চেয়ারম্যান পদ থেকে বহিষ্কার করে আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে বৈলতলীর সাধারণ জনগণ।

মন্তব্য করুন