চট্টগ্রামে বন্ধুত্ব করে ফাঁদে ফেলে বিবস্ত্র অবস্থায় ভিডিও ধারণ করে প্রতারণায় জড়িত নারীসহ সাত অপরাধীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পাশাপাশি অপহৃতকে উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দিবাগত রাতে নগরীর বায়েজিদ বোস্তামী থানার রূপনগর আবাসিক এলাকার আদনান ভিলা নামের একটি ভবন থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতাররা হলেন, নগরীর চান্দগাঁও থানার পুরাতন চান্দগাঁও এলাকার মৃত মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. আসিফ (২৩), একই এলাকার মুন্সি মিয়ার ছেলে মো. মোরশেদ (২৯), চট্টগ্রামের রাউজান থানার উরকিরচর গ্রামের মৃত গোলাম শরীফের ছেলে মো. সাজে শরীফ (৪০), একই এলাকার মো. সাজে শরীফের স্ত্রী জেসমিন আকতার (৪০), চন্দনাইশ থানাধীন হাজির পাড়া গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে মো. আবুল হাসেম (৩৫), ভূজপুর থানার পূর্ব ভূজপুর গ্রামের মৃত হাজী কবির আহম্মদের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন (৩৯), চট্টগ্রামের বাঁশখালী থানার পুকুরিয়া চা বাগান এলাকার সাহাবুদ্দিনের স্ত্রী ফাতেমা খাতুন (২৬)।
পুলিশ জানিয়েছে, শ্রীকান্ত শীল (২১) নামের এক কলেজশিক্ষার্থীর সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় গ্রেফতার আসিফের। বন্ধুত্বের জেরে গত ২৫ এপ্রিল রাত ৮টার দিকে শ্রীকান্তকে বেড়ানোর কথা বলে ঘটনাস্থলে আসতে বলেন। এরপর আসিফ শ্রীকান্তকে আদনান ভিলার তৃতীয়তলায় নিয়ে যায়। এরপর ওই বাসায় আগে থেকে চারজন পুরুষ ও দুজন নারী ছিল। শ্রীকান্ত ওই বাসায় ঢোকার সঙ্গে সঙ্গে বাসায় অবস্থানরত আসামিরা তাকে মারধর করে মোবাইল ফোন ও সাথে থাকা ১৪৫০ টাকা ছিনিয়ে নেয়।
এরপর তাকে জোরপূর্বক উলঙ্গ করে গ্রেফতার আসিফ মোবাইলে ভিডিও ধারণ করে। এ সময় তার কাছ থেকে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। চাঁদা না দিলে রেকর্ড ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন। এরপর শ্রীকান্ত বিভিন্ন স্থানে ফোন করে তার নিকটাত্মীয়দের কাছ থেকে টাকা চেয়ে ব্যর্থ হন। এরপর আসামিরা ওই বাসা থেকে শ্রীকান্তকে বের করে একটি সিএনজি অটোরিকশায় তুলে দেন।
বায়েজিদ বোস্তামী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সনজয় কুমার সিনহা জাগো নিউজকে বলেন, প্রতারণার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক আদনান ভিলা নামের ওই বাসা থেকে আরমান নামে আরেকজনকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়।
ওসি বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিদের শনিবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। মূলত তারা বন্ধুত্বের আড়ালে প্রতারণার মাধ্যমে লোকজনকে আটকে চাঁদা আদায় করতেন।
মন্তব্য করুন