ইউরোস্ট্যাটের সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুসারে, ২০২৩ সালে ইইউতে প্রায় ১০,৭৯৩ জন মানব পাচারের শিকার নিবন্ধিত হয়েছিল, যা আগের বছরের তুলনায় ৬.৯% বেশি।
এখন পর্যন্ত, এটি ২০০৮ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে সর্বোচ্চ রেকর্ডকৃত মান।
২০২৩ সালে, ইইউতে প্রতি দশ লক্ষ বাসিন্দার জন্য ২৪ জন মানব পাচারের শিকার ছিল যা ২০২২ সালে প্রতি দশ লক্ষের মধ্যে ২৩ জন ছিল।
ইইউতে সর্বোচ্চ পাচারের হার লুক্সেমবার্গ, গ্রীস, নেদারল্যান্ডস, অস্ট্রিয়া এবং সুইডেনে পরিলক্ষিত হয়েছে এবং সর্বনিম্ন হার ক্রোয়েশিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং চেক প্রজাতন্ত্রে পরিলক্ষিত হয়েছে।
বুলগেরিয়া, রোমানিয়া, স্লোভাকিয়া, হাঙ্গেরি, ক্রোয়েশিয়া, লাটভিয়া, লিথুয়ানিয়া এবং পোল্যান্ড বেশিরভাগই তাদের নিজস্ব দেশ থেকে ভুক্তভোগীর কথা জানিয়েছে, যেখানে অস্ট্রিয়া, মাল্টা, স্লোভেনিয়া, স্পেন, ডেনমার্ক, বেলজিয়াম, পর্তুগাল, গ্রীস, ফিনল্যান্ড, লুক্সেমবার্গ, ইতালি এবং এস্তোনিয়ার নিবন্ধিত ভুক্তভোগীদের ৮০% এরও বেশি ইইউ-বহির্ভূত দেশ থেকে এসেছে।
পাচার হওয়া ভুক্তভোগীদের মধ্যে পুরুষ থেকে নারীরা সংখ্যায় বেশি। মানব পাচারের নিবন্ধিত ভুক্তভোগীদের মধ্যে দুই-তৃতীয়াংশ ছিলেন নারী বা মেয়ে।
পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২২ সালের তুলনায় নারী ও মেয়েদের পাচারের হার ০.৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
নিবন্ধিত ভুক্তভোগীদের মধ্যে, ২০২৩ সালে যৌন নিপিড়নের শিকার হওয়ার সংখ্যা ছিলো সবচেয়ে বেশি, ৪৩.৮%। যদিও ২০০৮ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত যৌন নিপিড়নের পরিমান ধীরে ধীরে হ্রাস পেয়েছে।
তবে জোরপূর্বক শ্রম বা পরিষেবার জন্য পাচারের শিকার নিবন্ধিত ভুক্তভোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
২০০৮ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে, জোরপূর্বক শ্রম এবং পরিষেবার জন্য পাচারের শিকারদের হার ১৪% থেকে ২১% এর মধ্যে ছিল এবং ২০১৯ সাল থেকে এই হার ২৮% থেকে ৪১% এর মধ্যে ছিল।
অঙ্গ অপসারণ এবং অন্যান্য শোষণমূলক উদ্দেশ্য যেমন, জালিয়াতি, অপরাধমূলক কার্যকলাপ এবং জোরপূর্বক ভিক্ষাবৃত্তির মতো কাজে পাচারকারীদের ব্যবহারের পরিমান ২০২৩ সালে ২০.২% ছিল।
এদিকে, পাচারকারী চক্রের মধ্যে মধ্যে নারীর অনুপাত পুরুষদের অনুপাতের তুলনায় অনেক কম। সন্দেহভাজন এবং দোষী সাব্যস্ত পাচারকারীদের এক-চতুর্থাংশেরও কম ছিল নারী, যথাক্রমে ২৪% এবং ২৩%। ২০২৩ সালে সন্দেহভাজন পাচারকারীর সংখ্যা ছিল ৮,৪৭১ জন - যা আগের বছরের তুলনায় ৫% বেশি। ২০২২ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যে ইইউতে দোষী সাব্যস্ত পাচারকারীদের সংখ্যা ১০.১% বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৬টি ইইউভুক্ত ২৬টি দেশের মধ্যে ১৫টিতে মানব পাচারের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে।
মন্তব্য করুন