বিনা নোটিশে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানের প্রতিবাদে উত্তরাঞ্চলের সব পেট্রল পাম্প অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে ধর্মঘট শুরু করেছে রাজশাহী বিভাগের সংশ্লিষ্ট খাতের মালিক-শ্রমিক ঐক্য পরিষদ।
বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে সব ধরনের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধ রেখেছেন সংগঠনটির মালিক ও শ্রমিকরা।
এর আগে মঙ্গলবার বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিল স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের পেট্রল পাম্প মালিকদের জ্বালানি তেল উত্তোলন ও বিপণন বন্ধের আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার নওগাঁ জেলার সড়ক ও জনপথ বিভাগ কোনো ধরনের পূর্বঘোষণা, নোটিশ বা আনুষ্ঠানিক চিঠি না দিয়ে আকস্মিক উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে। এই অযৌক্তিক ও অন্যায় অভিযানের ফলে পেট্রল পাম্প মালিকরা চরম হতাশ ও ক্ষুব্ধ।
এদিকে ধর্মঘটের কারণে জ্বালানি তেল না পাওয়ায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। বিশেষ করে মোটরসাইকেল চালকরা পড়েছেন বিপাকে। যারা ধর্মঘটের খবরে আগাম জ্বালানি তেল সংগ্রহ করেছিলেন তারাই কেবল এখন মোটরসাইকেল চালাতে পারছেন।
রাজশাহী নগরীর পাম্পগুলো ঘুরে দেখা গেছে, রাজশাহী নগরীর প্রতিটি পেট্রল পাম্প বন্ধ রয়েছে। ফলে পাম্পে তেল নিতে এসে অনেকেই ফিরে যাচ্ছেন। আবার অনেকেই পড়ছেন বিপাকে।
নগরীর সাহেব বাজার এলাকার গুল ফোফুর পেট্রোল পাম্পে তেল নিতে আসা মোটরসাইকেল চালক সাব্বির হোসেন বলেন, সকাল থেকে দেখি পাম্প বন্ধ। তিনটি পেট্রোল পাম্প ঘুরেছি, কোথাও কেউ তেল দিচ্ছে না। এখন কী করবো বুঝছি না। বেশি দামে হলেও বাইরের দোকান থেকে কিনতে হবে। তা না হলে তো গাড়ি বন্ধ হয়ে যাবে।
আরেক ক্রেতা আব্দুল্লাহ আল মাসুদ বলেন, হঠাৎ ঘোষণা দিয়ে বন্ধ করায় মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে। এখন আমরা তেল কোথায় পাবো। অন্তত দুই বা তিনদিন আগে এটা জানানো দরকার ছিল। এইভাবে পাম্প বন্ধ করা ঠিক হয়নি। দ্রুত এগুলো খুলে দেওয়া দরকার।
বাংলাদেশ পেট্রলিয়াম ডিলার্স, ডিস্ট্রিবিউটরস, এজেন্টস অ্যান্ড পেট্রল পাম্প ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন রাজশাহী বিভাগের সভাপতি মো. মিজানুর রহমান রতন ও সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল জলিলকে একাধিকবার মোবাইলে কর করেও তাদের পাওয়া যায়নি।
মন্তব্য করুন