কৃষিনির্ভর দেশ গড়তে ভূমিকা রাখি, কৃষকের পাশে সবাই থাকি এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২৩ ডিসেম্বর (সোমবার) চাঁদপুর শাহরাস্তি উপজেলা খিলা খাল বাজার ভাসমান পাম্প সেচ প্রকল্প চালুর বিষয়ে কৃষক ও ম্যানেজারদের যৌথ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
উপজেলার রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে সভা অনুষ্ঠিত হয়। রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিনের বিএনপির সভাপতি অধ্যাপক মোজাহার হোসেনের সভাপতিত্বে রায়শ্রী দক্ষিণ ইউনিয়নের যুবদলের সভাপতি ও খিলাবাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. মাহবুব আলমের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে আমিও কৃষক জনতার প্রতি বক্তব্য দেন-বিশিষ্ট, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সমাজ সেবক ফখরুল ইসলাম বিলাস।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ফখরুল ইসলাম বিলাস বলেন, শাহরাস্তি উপজেলা খিলা খাল ভাসমান পাম্প সেচ প্রকল্পের সেচ কাজ সুচারুভাবে চলুক। কৃষিকাজকে এগিয়ে নিতে এবং কৃষকের উন্নয়নে সেচ প্রকল্প সুচারূভাবে পরিচালনার জন্য তিনি ব্যক্তিগত তহবিল হতে ৫ লাখ টাকা অনুদান হিসেবে প্রদান করার ঘোষণা দিয়েছেন।
কৃষি নির্ভরশীল দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হলে কৃষকের জন্য কাজ করতে হবে, দেশ ও সমাজের সবাইকে সেই প্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। খিলা খাল ভাসমান পাম্প সেচ প্রকল্প চালুর বিষয়ে উপকারভোগী কৃষক ও ম্যানেজারদের মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভায় সেচ প্রকল্পের আওতায় আবাদি জমির মালিক-কৃষক এবং সেচ প্রকল্পের ম্যানেজারগন উপস্থিত থেকে তাদের প্রত্যাশিত চাহিদার কথা তুলে ধরেন, তাদের সকল কাজে স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করেছেন।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, খিলা খাল ভাসমান পাম্প সেচ প্রকল্পের কেন্দ্রীয় ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম দিদার, সমাজ সেবক মনিরুল ইসলাম (মনির), শাখা ম্যানেজার কুতুব উদ্দিন, বিজয়পুরের শাখা ম্যানেজার আবু সাইদ, উল্লাশ্বরের ম্যানেজার বাবুল, লাকসাম-মনোহরগঞ্জ অঞ্চলের ম্যানেজার জোবায়ের হোসেন,বাংলাইস গ্ৰামের কৃষক আবদুল মোতালেব, রশিদপুর গ্ৰামের কৃষক কুতুব উদ্দিন, কৃষক আবদুর রহিম বাদশা,কৃষক আবুল বাশার, বেরকী গ্ৰামের কৃষক আবদুর রহিম, কৃষক হেমায়েত উদ্দিন সুমন সহ এলাকার স্থানীয় নেতৃবৃন্দরা।
সভায় বর্তমান সেচ প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত নতুন পরিচালনা পর্ষদের পক্ষ থেকে স্থানীয় গণমাধ্যমের সামনে বিস্তারিত তুলে ধরেন- ২০২৩-২৪ অর্থবছরে সেচ মৌসুমের ম্যানেজার হিসেবে মোঃ জহিরুল ইসলাম (মাসুদ) ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।
বর্ণিত ম্যানেজারের নিকট বকেয়া বিদ্যুৎ বিল ও আনুষাঙ্গিক পাওনা বাবদ -১,৭৩,৭০৫/- (এক লক্ষ তিয়াত্তর হাজার সাতশত পাঁচ) টাকা রাজস্ব আদায়ের স্বার্থে তার বিরুদ্ধে বিদ্যুৎ আইন-২০১৮’র ৩২(২) ধারা মোতাবেক সিআর মামলা নং-৫২৯১/২৪ চলমান রয়েছে।
এছাড়াও বিএডিসির মালামাল তসরুফের অভিযোগ এনে শাহরাস্তি থানায় তার বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, চাঁদপুর জেলার শাহরাস্তি উপজেলা কুমিল্লা জেলার বরুড়া, লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ সহ দুই জেলার মোট ৪টি উপজেলার কৃষকগন এই প্রকল্পের আওতায় ১৯৯১ সাল থেকে ইরিগেশন শুরু করে।
এই প্রকল্পের আওতায় (প্রায়) ৩৫ হাজার কৃষক কৃষি ফসলের জমিন চাষাবাদ করে থাকেন। এই সেচ প্রকল্পের আওতায় জমির পরিমাণ প্রায় ১২০০ হেক্টর। কৃষি নির্ভরশীল দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখতে হলে কৃষকের জন্য কাজ করতে হবে।
মন্তব্য করুন