শ্রেণিকক্ষ ভাড়ার বিনিময়ে একটি এনজিওকে কার্যক্রম পরিচালনার সুযোগ করে দেওয়া সেই প্রধান শিক্ষক মকছেদ আলীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত অভিযোগ সত্য কি না- তা আগামী ৭ দিনের মধ্যে তাকে জানাতে বলা হয়েছে।
বিকালে কুমারখালী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে এ তথ্য জানানো হয়। মো. মকছেদ আলী কুমারখালীর যোগেন্দ্রনাথ (জেএন) মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক।
২০০৯ সালে জেএন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মকছেদ আলী। তার যোগদানের পর থেকে মোটা অঙ্কের টাকার বিনিময়ে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষে প্রায়ই একটি বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা (এনজিও) ও সংগঠনের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণ কর্মশালাসহ নানা কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রায় ১৪ বছর ধরে তিনি অসাধু উপায়ে এভাবে এনজিও প্রতিষ্ঠানের কাছে শ্রেণিকক্ষ ভাড়া দিয়ে আয় করে আসছেন।
দীর্ঘদিন ধরে এমন বাণিজ্য চলে আসলেও ভয়ে প্রধান শিক্ষকের এই কর্মকাণ্ডের প্রতিবাদ করতে পারেননি বলে জানিয়েছেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
স্থানীয় ও অভিভাবকদের কাছ থেকে তথ্য সংগ্রহ করে সম্প্রতি প্রধান শিক্ষকের এমন কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ করে সাংবাদিকরা।
একাধিক এনজিও ও সংগঠনের কর্মকর্তার দাবি, শ্রেণিকক্ষে তারা প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মকাণ্ড করে থাকেন, তা সত্য। তবে এর জন্য তারা প্রধান শিক্ষককে টাকাও দিয়ে আসছেন।
তবে প্রধান শিক্ষকের দাবি, তিনি ভাড়া বাবদ কোনো টাকা নেননি। প্রশিক্ষক হিসেবে এনজিও থেকে মাঝেমধ্যে কিছু সম্মানি পেয়েছেন মাত্র।
ছুটির দিন বা ছুটির পর এসব এনজিওর কাজ চলে থাকে বলে জানান তিনি। প্রধান শিক্ষক মো. মকছেদ আলী বলেন, ‘কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়েছি। নোটিশের জবাবে জানানো হবে।’
প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শ্রেণিকক্ষ ভাড়া বাণিজ্যের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানান উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. নাজমুল হক।
তিনি বলেন, ‘প্রধান শিক্ষককে ৭ দিনের কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। নোটিশের জবাবের পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে।’
মন্তব্য করুন