মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখানে শ্বশুরবাড়ি থেকে চৈতী রানী দাস (২০) নামে এক গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের দাবি, পারিবারিক কলহের জেরে মারধর করায় মারা গেছেন তিনি।
গত শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মুন্সীগঞ্জ সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়।
চৈতী রানী দাস মুন্সীগঞ্জ সদর উপজেলার রিকাবী বাজার নগর এলাকার সিঙ্গাপুর প্রবাসী সুরঞ্জন মন্ডলের স্ত্রী এবং সিরাজদিখান উপজেলার রাজানগর ইউনিয়নের নয়ানগর গ্রামের চঞ্চল দাসের বড় মেয়ে।
গৃহবধূর শ্বশুরবাড়ির এলাকার লোকজন জানিয়েছেন, চৈতী দাস মারা যাওয়ায় পরপরই তার শ্বশুরবাড়ির লোকজন পালিয়েছে।
চৈতীর বাবা চঞ্চল দাস জানান, ‘বৃহস্পতিবার সকালে আমি আমার মেয়ের বাসায় বেড়াতে যাই। আমার মেয়ে শুক্রবার বিকালে তার শাশুড়িকে নিয়ে আমাদের বাসায় বেড়াতে আসার কথা ছিল।
আমি তাদের রেডি হয়ে থাকতে বলেছিলাম নিয়ে আসার জন্য। এর পরের দিন দুপুরে আমরা তার মৃত্যুর খবর পাই। তার গলায় ফোলা দাগ রয়েছে। এটি একটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড বলে দাবি করেন তিনি।’
নিহত চৈতীর মা লিপি রানী দাস বলেন, ‘আমার মেয়ের জামাই সিঙ্গাপুর থাকেন। শ্বশুর বাড়ির লোকজন আমার মেয়েকে অত্যাচার করে মেরে ফেলেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই।’
মুন্সীগঞ্জ হাতিমার তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক সমর রায় জানান, ‘গৃহবধূর মৃত্যু রহস্যজনক। এ বিষয়ে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। এরপর পেনাল কোড ৩০৬ ধারায় আরেকটি মামলা হয়েছে।
লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন কর্তৃপক্ষ।’
মন্তব্য করুন