বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

বিনা লাভের দোকান চালু শিক্ষার্থীদের

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৮
ছবি-সংগৃহীত

বাগেরহাট জেলার চিতলমারীতে ব্যতিক্রর্মী উদ্যোগ বিনা লাভের দোকান চালু করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এখানে সব পণ্য বাজার থেকে কম দামে বিক্রি হচ্ছে। এতে স্বস্তি ফিরেছে ক্রেতাদের মাঝে। 

বুধবার (৬ নভেম্বর) হাটের দিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি একটি দোকানে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো।

উপজেলা কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের গেটের সামনে ‘বিনা লাভের’ দোকান। বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার মাদ্রসা, স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা দোকানটি খুলেছে। আর কম দামে পণ্য কিনতে পেরে এখানে আসা ক্রেতারাও খুশি। 

সরেজমিন দেখা গেছে, চিতলমারী উপজেলা সদর বাজারে সপ্তাহে দুই দিন (বুধ ও শনি) হাট বসে। তাই সাধারণ ক্রেতাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিতে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে একটি ‘বিনা লাভের’ দোকান খোলা হয়। 

দোকানটিতে প্রতি কেজি মুসরির ডাল ১০৫ টাকা, ডিম হালি ৪৫ টাকা, চিনি প্রতি কেজি ১২৫ টাকা, পেঁয়াজ (দেশী) প্রতি কেজি ১০৫ টাকা, রসুন প্রতিকেজি ২২০ টাকা ও কাঁচামরিচ প্রতি কেজি ১১৫ টাকা দরে বিক্রি করা হয়। 

যা বাজারের অন্যান্য দোকানের চাইতে তুলনামূলক কম দামে বিক্রি হচ্ছে বলে ভোক্তারা দাবি করেন। এ ছাড়া দোকানটিতে পলিথিন বর্জন করে পরিবেশ বান্ধব ব্যাগে পণ্য সরবারহ করা হয়। 

পণ্য কিনতে আসা শাহাদাত খন্দকার, মানোয়ার হোসেন ও মোশারফ মোল্লা বলেন, বিনা লাভের দোকানে আসলেই কম দামে পণ্য পেয়েছি। মালের গুণগত মানও অনেক ভালো। দূর থেকে আমাদের এখানে আসতে হলেও কম দামে মাল কিনতে পেরে আমরা খুশি। 

বিনা লাভের দোকানের আয়োজকদের মধ্যে দিদারুল ইসলাম, তানভির বিশ্বাস, শেখ হাসান, শিহাব মুন্সি, নাঈম মুন্সি, রাতুল শেখ, আব্দুল করিম শেখ, স্বর্ণা আক্তার, সাদিয়া আক্তার, মিষ্টি আক্তার, মৌ আক্তার ও লামিয়া বলেন, আমরা আমাদের ক্ষুদ্র পরিসর থেকে চেষ্টা করছি ব্যবসায়ীদের সিন্ডিকেট ভাঙার জন্য। যাতে সাধারণ মানুষ কিছুটা হলেও স্বস্তি পায়। 

মন্তব্য করুন