মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১

নোয়াখালীতে মা-মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৩৮

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় ঘর থেকে তুলে নিয়ে মা ও মেয়েকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) রাতে ভুক্তভোগী নারী কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এর আগে, গত রোববার রাতে উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের দুর্গম চরে এ ঘটনা ঘটে।  

আটককৃতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়নের চর বালুয়া গ্রামের বাসিন্দা হাসান (৩৬) ও হারুন (৩২)। 

ভুক্তভোগী এক নারী বলেন, আমার স্বামী চট্টগ্রামের কাভার্ডভ্যান চালক। বাড়িতে আমি, আমার মেয়ে (১৭) ও এক দেবর (২১) থাকি। আমাদের বাড়ির আশপাশে তেমন বাড়িঘর নেই। গত রোববার রাত ১১টার দিকে একই ইউনিয়নের ছয় যুবক আমার বাড়িতে আসে। তারা ঘরের দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে আমার দেবরের মুখ, হাত-পা বেঁধে ফেলে। এরপর আমার মেয়ে ও আমাকে ঘর থেকে বের করে নিয়ে যায়।

তিনি আরো বলেন, যুবকদের মধ্যে তিনজন আমাকে টেনে নিয়ে যায় বাড়ির পুকুরপাড়ে। তিনজন আমার মেয়েকে বসতঘরের পাশের রান্নাঘরের সামনে নিয়ে যায়। এরপর আমাকে পুকুরপাড়ে ও মেয়েকে রান্নাঘরের সামনে রাত ৩টা পর্যন্ত নির্যাতন করে ওই যুবকরা। 

যাওয়ার সময় ঘর থেকে টাকাসহ জিনিসপত্রও লুট করে নিয়ে যায়। ঘটনাটি কাউকে না জানানোর জন্য হুমকিও দিয়ে যায় তারা। ঘটনার পর স্থানীয় সমাজপতিদের কাছে বিচার চেয়েও পাইনি। পরে বাধ্য হয়ে শনিবার বিকেলে স্থানীয় চর বালুয়া পুলিশ ক্যাম্পে গিয়ে মৌখিক অভিযোগ করি।

চরবালুয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. শাহাদাৎ বলেন, ভুক্তভোগী নারীর মৌখিক অভিযোগ শুনে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত হাসান ও হারুনকে আটক করা হয়। পরে ভুক্তভোগীসহ আসামিদের নদীপথে কোম্পানীগঞ্জ থানায় পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি গাজী মুহাম্মদ ফৌজুল আজিম বলেন, ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ দুজনকে আটক করেছে। নির্যাতিত নারী ও তার মেয়েকে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন। 

মন্তব্য করুন