শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১

এস আলমের ১০ বিলাসবহুল গাড়ি ফিরিয়ে আনা হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৪১
ফাইল ছবি

চট্টগ্রামে এস আলমের কারখানা থেকে বিএনপি নেতাদের তত্ত্বাবধানে সরিয়ে নেয়া ১৪টি গাড়ির মধ্যে ১০টি গাড়ি ফেরত আনা হয়েছে। স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করে গাড়িগুলো মইজ্জারটেকে এস আলমের দুটি কারখানায় রাখা হয়েছে।

শনিবার রাতে এসব গাড়ি সংশ্লিষ্ট কারখানায় বুঝিয়ে দেয়া হয়। এদিকে এ ঘটনায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত ঘোষণা করেছে দলটি। একই সঙ্গে ৩ নেতার পদ স্থগিত করা হয়েছে। রোববার রাতে বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত পৃথক পৃথক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।

কর্ণফুলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাসুমা জান্নাত রোববার সন্ধ্যায় বলেন, ১০টি গাড়ি এস আলমের কারখানায় ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পেরেছেন।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে তিনি কর্ণফুলী থানার ওসির সঙ্গে কথা বলতে বলেন। কর্ণফুলী থানার ওসি জহিরুল ইসলাম বলেন, গাড়িগুলো এস আলমের কারখানাতে রয়েছে। তবে বিএনপি নেতা বা তাদের প্রতিনিধিদের কে ফেরত দিয়ে গেছে তা জানি না।

জানা গেছে, আরও চারটি গাড়ি বাইরে রয়েছে। সেগুলোও গোয়েন্দা নজরদারিতে আছে। শুক্রবার মধ্যরাতে কর্ণফুলী থানাধীন মইজ্জারটেক এলাকায় অবস্থিত একটি কারখানা থেকে ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয়। চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির তিন নেতার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ তত্ত্বাবধানে এসব গাড়ি সরিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে।

গাড়ি বের করে নেওয়ার সময় বিএনপি নেতার উপস্থিতির একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। গণমাধ্যমে প্রকাশ হয় সংবাদ। বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুর এস আলমের কোনো সম্পদে কাউকে হাত না দেওয়ার আহ্বান জানানোর পর মূলত গাড়িগুলো জব্দের হাত থেকে রক্ষা পেতে বিএনপি নেতাদের তত্ত্বাবধানে নিরাপদে সরিয়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ উঠে।

যদিও তিন নেতা-দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, যুগ্ম আহ্বায়ক এনামুল হক এনাম ও কর্ণফুলী থানা বিএনপির আহ্বায়ক মামুন মিয়া শনিবার দলীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দাবি করেন, তাদের তত্ত্বাবধানে এস আলমের কারাখানা থেকে গ্রুপের গাড়ি বের হওয়ার কোনো ঘটনা ঘটেনি। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হয়েছে।

এতে তাদের মানসম্মান ক্ষুণ্ন হয়েছে। এর ভিত্তিতে কেন্দ্র থেকে তাদের শোকজ করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছে। এনামুল হক এনাম যুগান্তরকে বলেন, এস আলমের কারখানা থেকে কখন গাড়ি বের হয়েছে, কতটি গাড়ি বের হয়েছে আবার কতটি গাড়ি ফেরত আনা হয়েছে সেসব বিষয়ে প্রকৃত অর্থে কিছুই জানি না। জানার প্রয়োজনও নেই।

ষড়যন্ত্রমূলকভাবে রাজনৈতিক কোনো প্রতিপক্ষ আমাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা অপবাদ ছড়াচ্ছে। কেন্দ্র যে শোকজ করেছে তার জবাবও নির্দেশিত সময়ের মধ্যে জমা দেব। এ বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানাই।

বিএনপির চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা কমিটি বিলুপ্ত, ৩ নেতার পদ স্থগিত : বিবৃতিতে বলা হয়, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। পরে কমিটি ঘোষিত না হওয়া পর্যন্ত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির নামে কোনো সাংগঠনিক কার্যক্রম চালানো যাবে না।

একই সঙ্গে চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক আবু সুফিয়ান, ১ম যুগ্ম আহ্বায়ক মো. এনামুল হক এনাম ও আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এসএম মামুন মিয়ার প্রাথমিক সদস্যসহ সব পর্যায়ের পদ স্থগিত করা হয়েছে।

পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এ আদেশ কার্যকর থাকবে। এর আগে শনিবার (৩১ আগস্ট) এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদ ও তার পরিবারের সদস্যদের ব্যবহৃত ১৪টি বিলাসবহুল গাড়ি এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সরাতে সহযোগিতার ঘটনায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা বিএনপির শীর্ষ তিন নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় দলটি।

শনিবার বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবর রহমান শামীম গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাদের কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।

মন্তব্য করুন