রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে অনুমোদনহীন কয়েল কারখানায় অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। সোমবার (২৪ অক্টোবর) দুপুরে হারাগাছ পৌর এলাকার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের গফুরটারী মধ্যপাড়া গ্ৰামে ওই কারখানার ভেতরে এ অগ্নিকাণ্ড ঘটে।
স্থানীয়রা জানান, হারাগাছ পৌরসভার গফুরটারী এলাকায় বেঙ্গল সুপার ও বেঙ্গল কিং কয়েল কারখানায় আকস্মিক অগ্নিকাণ্ড ঘটে। খবর পেয়ে হারাগাছ ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। একপর্যায়ে তাদের পানি ফুরিয়ে গেলে এক কিলোমিটার দূরের পুকুর থেকে পানি এনে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এ সময় কয়েল শুকানোর ডায়ার ঘরের দেওয়ালে ফাটল দেখা দিলে আশপাশের বসতবাড়িতে থাকা মানুষদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
হারাগাছ ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ইনচার্জ গোলজার হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমরা দুপুর সোয়া ১টার দিকে বেঙ্গল কয়েল কারখানায় আগুন লাগার খবর পাই। সাত মিনিটের মধ্যে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দেড় ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নেভানো সম্ভব হয়।
গোলজার হোসেন আরও বলেন, কারখানার আশপাশে কোনো পানির উৎস না থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সমস্যায় পড়তে হয়েছিল। পরে ঘটনাস্থল থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে খানবাড়ির পুকুর থেকে পানি এনে আগুন নেভানো হয়। ডায়ার ঘরে আগুনের সাহায্যে বিপুল পরিমাণ কয়েল শুকানো হচ্ছিল। কয়েল শুকানো ডায়ার ঘরে তাপ বেশি হওয়ার কারণে এ অগ্নিকাণ্ড হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বেঙ্গল কোয়েল কারখানার আশপাশে ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা এবং প্রশস্ত রাস্তা না থাকায় ফায়ার সার্ভিসের পানিবাহী গাড়ি কারখানা থেকে অনেকটা দূরে রাখতে হয়েছে।
১৬ অক্টোবর ওই কয়েল কারখানায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রংপুরের সহকারী পরিচালক আফসানা পারভীনের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্রসহ প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে না পারায় এ সময় কারখানা মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা ও প্রতিষ্ঠানটির উৎপাদন বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়। এছাড়া বিএসটিআইয়ের অভিযানেও কারখানায় উৎপাদন বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে কারখানা মালিক তা আমলে না নিয়ে উৎপাদন অব্যাহত রাখেন।
মন্তব্য করুন