বরযাত্রীর লোকজনকে বিয়ে বাড়িতে রেখেই বরের গাড়ি ছেড়ে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। রোববার (৩০ অক্টোবর) নড়াইলের ভদ্রবিলা ইউনিয়নের বাগডাঙ্গা গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) বাগডাঙ্গা গ্রামের সিদ্দিক মোল্যার ছেলে নয়ন মোল্যার বিয়েতে তার পরিবারের লোকজন ছাড়াও গ্রামের মিনাবাড়ির লোকজন বরযাত্রী হিসেবে যায়। খাবারের শেষে তাড়াহুড়ো করে অধিকাংশ বরযাত্রী গাড়িতে চড়ে বাড়ি ফিরলেও মিনাবাড়ির কয়েকজন বিয়ে বাড়ি থেকে যায়। এ নিয়ে মোল্যা বংশ ও মিনাবাড়ির লোকজনের মধ্যে বাগবিতন্ডা হয়।
এ ঘটনার জের ধরে রোববার সকালে বাগডাঙ্গা খেয়াঘাটে চা পানের জন্য মিনা বংশের লোকজন গেলে পরিকল্পিতভাবে একই পাড়ার মোল্যা বংশের লোকজন লাঠিসোটা ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে পরিকল্পিতভাবে মিনাবাড়ির লোকজনদের ওপর চড়াও হন। এসময় উভয়পক্ষের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। এতে তিন নারীসহ উভয়পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়।
সংঘর্ষে আহত হয়ে শিয়াবুল মিনা (২২), বাবলু মিনা (৩৬), রজিবুল মিনা (২৮), বিল্লাল মোল্যার স্ত্রী ঝর্না বেগম (৪৫), হোসেন মিনা (৪৫), মুসা মিনার স্ত্রী চম্পা বেগম (৫০), রাব্বি মোল্যা (২৫), বিল্লালের স্ত্রী নাসরিন বেগম (৪৫), আলামিন মোল্যা (৫০), রানা মিনা (২৮), সামিউল মিনা (২৩), সজীব মিনা (২৩) সহ অন্তত ১৫জন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
নড়াইল সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শরীফ মো.হাসান ফেরদৌস জানান, গুরুতর আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া অন্যান্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
বিষয়টি নিয়ে নড়াইল সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা (ওসি) মাহমুদুর রহমান জানান, পুলিশ হাসপাতালে গিয়ে আহতদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ব্যাপারে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
মন্তব্য করুন