দুই যুগ পর কিশোরগঞ্জের মিঠামইনে যান প্রধানমন্ত্রী। মঙ্গলবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) সেখানে বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হামিদ সেনানিবাসের উদ্বোধন করেন। এরপর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের পৈতৃক বাড়ি কামালপুরে যান। তিনি সেখানে জোহরের নামাজ পড়েন এবং মধ্যহ্নভোজে অংশ নেন।
খাবারে থাকে ১৫ প্রকারের মাছ দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে আপ্যায়ন করা হয়। খাবারের মেনুতে ছিল স্থানীয় জাতের ঐতিহ্যবাহী রাতাবোরো চাউলের সাদা ভাত, রুই মাছ দোপেঁয়াজা, কাতলা মাছ দোপেঁয়াজা, চিতল মাছ দোপেঁয়াজা, আইড় মাছ দোপেঁয়াজা, পাবদা মাছ দোপেঁয়াজা, গোলসা টেংরা মাছ দোপেঁয়াজা, কালিবাউশ মাছ দোপেঁয়াজা, শোল মাছ ভুনা, বাইম মাছ ভুনা, চিংড়ি মাছ ভুনা, বোয়াল মাছ ভুনা, গ্রাস কার্প মাছ ভুনা, বাছা বাছ ভুনা, রিটা মাছ মাখা মাখা ঝোল, পাঙ্গাস মাছ মাখা মাখা ঝোল এবং মশুর ডাল, সালাদ ও রসমালাই।
এর আগে ১৯৯৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রধানমন্ত্রী মিঠাইনে গিয়েছিলেন। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এই এলাকা থেকে মোট সাত বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০০৮ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে জাতীয় সংসদের স্পিকার হয়েছিল। স্পিকারের দায়িত্ব পালনকালে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান মারা গেলে আবদুল হামিদকে রাষ্ট্রপতি করা হয়। এরপর তিনি টানা দুই মেয়াদে রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি হবার পর থেকেই বড় ছেলে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এই এলাকার সংসদ সদস্য।
মন্তব্য করুন