শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫, ২৮ চৈত্র ১৪৩১

বিয়ে বাড়িতে কীটনাশক মেশানো চা, হাসপাতালে ভর্তি ১৪

ডেস্ক রিপোর্ট
  ২৬ নভেম্বর ২০২২, ১১:২০
প্রতীকী ছবি।

বিয়ে বাড়িতে কীটনাশক মেশানো চা পান করে বিষক্রিয়ায় অসুস্থ হয়ে ১৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঘটনাটি লালমনিরহাটে পাটগ্রামের। সঙ্গে সঙ্গে অসুস্থদের পাটগ্রাম স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 

শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) রাত ৯ টার দিকে উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের কাগজীপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। রাতেই তাদের মধ্যে গুরুতর অসুস্থ পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।

শনিবার (২৬ নভেম্বর) সকালে শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বর্তমানে ১৪ জন অসুস্থ আছেন। তাদের চিকিৎসা চলছে।

স্থানীয় সূত্রে জানা নায়, উপজেলার পাটগ্রাম শ্রীরামপুর এলাকার রফিকুল ইসলামের মেয়ের বিয়েতে অতিথিদের নাস্তা খাওয়ার পর তাদের চা পান করানো হয়। চা বানানোর সময় ভুলবশত চা পাতা না দিয়ে তাতে কীটনাশক (বাসুডিন) মেশানো হয়েছিল। আর ওই চা পান করেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিয়ে বাড়ির ১৪ জন অতিথি। স্থানীয়রা তাদের দ্রুত পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান। রান্না ঘরে চায়ের পাতা রাখা কৌটার পাশে কীটনাশকের প্যাকেট ছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

শ্রীরামপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আতাউর রহমান বলেন, আমার ভাতিজির বিয়েতে ভুলবশত এ ঘটনা ঘটেছে।

পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি জাহানারা বেগম বলেন, বিয়ে বাড়িতে নাস্তা খাওয়ার পর চা খেয়েছি। এর কিছুক্ষণ পর শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। পরে সবাই একই কথা বলছে। পরে জানতে পারি কীটনাশক পান করেছি।

এ ব্যাপারে পাটগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, অসুস্থরা বিষাক্ত কিছু পান করেছেন। তাদের চিকিৎসা প্রদান করা হয়েছে। এদের মধ্যে পাঁচজনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পাটগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওমর ফারুক বলেন, ভুলবশত এমন ঘটনা ঘটেছে। তবে জানতে পেরেছি ধীরে ধীরে অসুস্থরা সুস্থ হচ্ছেন। 

মন্তব্য করুন