শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিঅন্যান্যসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যফিচাররাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫, ৩০ ফাল্গুন ১৪৩২

এ যেন ‍মৃত্যুফাঁদ!

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ০৯ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১০:১৩
ছবি-সংগৃহীত

কুমিল্লার লাকসামে রেললাইনের পাশে তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। সেখানে নেই কোনো সীমানা দেওয়াল। এর ফলে শব্দদূষণের পাশাপাশি ঝুঁকিতে রয়েছে শতাধিক শিক্ষার্থী।

লাকসাম-নোয়াখালী রেলরুটের পাশে লাকসাম উপজেলার উত্তর ইউনিয়নের তপইয়া গ্রামের অবস্থিত তপইয়া ময়ুরেন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। প্রাথমিক বিদ্যালয়টি ২০১৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এখানে ১১৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে।

তবে সন্তানের নিরাপত্তার কথা ভেবে অভিভাবকরাও শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে আগ্রহ দেখাচ্ছেন না। ফলে কমছে বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতির পরিমাণ। অতি শিগগির বিদ্যালয়ে সীমানা দেওয়াল নির্মাণের দাবি জানিয়েছে অভিভাবক ও এলাকার সচেতন মহল।

তপইয়া গ্রামের বাসিন্দা শিক্ষানুরাগী আবদুল ওয়াদুদ খোকন বলেন, ‘এখানে মনপাল, তপইয়া ও কৃষ্ণপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের শিক্ষার্থীরা পড়তে আসে। সীমানা প্রাচীর না থাকায় শিক্ষার্থীরা ঝুঁকিতে রয়েছে। এখানে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ না হলে যেকোনো সময় বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।’

অভিভাবক রাশিদা খাতুন বলেন, ‘ছেলেকে স্কুলে পাঠিয়ে আতঙ্কে থাকি—কখন না ট্রেন আসে, কখন আবার সে রেললাইনে উঠে পড়ে।’

স্কুলের শিক্ষক বিদ্যুৎ পাল বলেন, ‘ট্রেন এলে আমরা রেললাইনের পাশে দাঁড়িয়ে যাই। যাতে শিক্ষার্থীরা রেল লাইনে উঠতে না পারে। এছাড়া এলাকাবাসীও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার বিষয়ে তৎপর থাকে।’

প্রধান শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘আমরা সীমানা প্রাচীর নির্মাণের বিষয়ে উপজেলায় আবেদন করেছি। দুই বছর ধরে এই বিষয়ে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।’

উপজেলা শিক্ষা অফিসার দেলোয়ার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, এই স্কুলের শিক্ষার্থীরা ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এ বিষয়ে আবেদন জানানো হয়েছে। আশা করছি, দ্রুত সেটি পাস হবে।’

মন্তব্য করুন