বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১
জাতীয়প্রবাস বাংলাঅপরাধবাণিজ্যরাজনীতিসারাদেশমতামতস্বাস্থ্যরাজধানীপাঠকের কথাআবহাওয়াফিচারশিল্প-সাহিত্যগণমাধ্যমকৃষি ও প্রকৃতিইসলামবৌদ্ধহিন্দুখ্রিস্টানআইন-বিচারবিবিধআপন আলোয় উদ্ভাসিতবেসরকারি চাকুরিসরকারি চাকুরি Photo Video Archive

বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১

হাতিরঝিলে সাংবাদিকের লাশ

তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় মৃত্যুরহস্য উদঘাটন করা হচ্ছে

নিজস্ব প্রতিবেদক
  ৩১ আগস্ট ২০২৪, ০০:৩৬
ফাইল ছবি

রাজধানীর হাতিরঝিল থেকে নারী সংবাদকর্মী রাহনুমা সারাহর (৩২) মৃত্যুরহস্য উদঘাটনে প্রযুক্তির সহায়তা নিচ্ছেন তদন্তসংশ্লিষ্টরা। রাহনুমার বাসার সিসিটিভি ফুটেজ ও তার স্বামীর সঙ্গে মোবাইলে কথোপকথনের তথ্য বিশ্লেষণের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। 

ইতোমধ্যে সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ ও স্বামীর ফোন জব্দ করা হয়েছে। পাশাপাশি রাহনুমার বাসা থেকে তিনটি ডায়েরি ও একটি খাতা উদ্ধার করা হয়েছে, সেগুলোও বিশ্লেষণ করা হবে। এছাড়া রাহনুমার ফেসবুক বন্ধু ফাহিম ফয়সালের সঙ্গেও সম্পর্কের বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার পর স্বজন ও পরিচিতজনরা কেন তার সমস্যা জানতে উদ্যোগী হয়নি সেটিও খতিয়ে দেখা হবে। তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথা জানা গেছে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা হাতিরঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাসুদুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাহনুমাদের কল্যাণপুরের বাসায় গিয়ে মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের চেষ্টা চালানো হয়। বাসার ভেতরে দুটি আলমারি বই দিয়ে পূর্ণ ছিল। এছাড়া স্বামী-স্ত্রীর অনেক কাপড় চোপড় দেখা গেছে। বাসায় নিয়মিত সেবন করেন এমন কোন ওষুধ পাওয়া যায়নি। তবে প্রযুক্তির সহায়তায় মৃত্যুরহস্য উদঘাটনের চেষ্টা করছি আমরা।

তদন্তসংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রাহনুমাদের বাসা থেকে তিনটি পুরোনো ডায়েরি ও একটি খাতা সংগ্রহ করা হয়েছে। পাশাপাশি মৃত্যুর আগের তিন দিনের বাসার সিসিটিভি ফুটেজ ও স্বামী সাইফুল আলম শাহীনের মোবাইল ফোনটি জব্দ করা হয়েছে। ডায়েরির লেখা, ফুটেজ ও ফোনের দুজনের কথোপকথন বিশ্লেষণ করা হবে। সেখানে দুজনের সম্পর্ক নিয়ে কী ধরনের বক্তব্য রয়েছে, মৃত্যু নিয়ে কিছু লিখেছেন কিনা, সেগুলো দেখা হবে।

সূত্র আরও জানায়, রাহনুমা ফেসবুকে শেষ পোস্ট দেওয়ার পর কেন তার সঙ্গে স্বামী ও স্বজনরা যোগাযোগ করলেন না, কেন তাকে বাঁচাতে চেষ্টা করা হলো না, সেগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তদন্তের স্বার্থে রাহনুমাদের বাসাটি তদন্ত দল তালাবদ্ধ করে দিয়েছেন। ওই নারী সাংবাদিকের স্বামীর সঙ্গে কথা বলে বিভিন্ন বিষয়ে জানার চেষ্টা করা হয়েছে। সেগুলোর সত্যতাও যাচাই করা হবে। সবকিছু বিশ্লেষণ শেষে মৃত্যুরহস্য বের করা সম্ভব হবে বলে তদন্ত দল আশাবাদী।

মঙ্গলবার রাতে হাতিরঝিলের লেকের পানিতে ভাসমান অবস্থায় জিটিভির সংবাদকর্মী রাহনুমা সারাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি জিটিভিতে নিউজরুম এডিটর হিসাবে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি নোয়াখালীর মাইজদী সদরে। তারা স্বামী-স্ত্রী ঢাকার কল্যাণপুরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। দুই বোন ও এক ভাইয়ের মধ্যে তিনি দ্বিতীয় ছিলেন। তার বাবা বখতিয়ার শিকদার মাইজদী প্রেস ক্লাবের সভাপতি।

মন্তব্য করুন