ব্রাজিলীয় লেখক পাওলো কোয়েলহো দীর্ঘ ১২ বছর চিন্তা-ভাবনা করে এ উপন্যাসটি লেখেন। উপন্যাসটি বিশ্বের ৮০টি ভাষায় অনুবাদ করা হয়। বিক্রি হয় দেড় কোটিরও বেশি কপি। এক ধরনের মিস্টিক, যাদু বাস্তবতাকে ছাড়িয়ে সময় ও মানচিত্র অতিক্রম করে সময়ের অমরত্ব নিয়ে এ উপন্যাসটির কাহিনী এগিয়ে গেছে যা পাঠ করা ছাড়া কথায় বোঝানো বেশ সুকঠিন।
স্পেনের এক রাখাল সময় ও মানচিত্র অতিক্রম করে আফ্রিকা মহাদেশে আসে এবং সেখান থেকে আস্তে আস্তে মিশরের দিকে যাত্রা শুরু করে। মিশর এসে সে একজন আলকেমিস্টের দেখা পায় যার কাছে সে অন্তরের কথা, স্বপ্নের কথা, সামনের ঘটনাপ্রবাহ আগে অনুভব করার বিদ্যা অর্জন করে। পরিশেষে সে সামনে এগিয়ে যায়। তারো পরে সে নিজকে পূর্ণভাবে উপলব্ধি করার পর অনুভব করে, সে শৈশবে বা যৌবনে যে স্থান থেকে যাত্রা শুরু করেছিল, সে স্থানে আবার ফিরে এসেছে। তখন সে জীবনের পরিপূর্ণ উপলব্ধি অনুভব করে।
সময়কে অনন্ত প্রবাহে টেনে নিয়ে, চিন্তাকে কোন নির্দিষ্ট দেশের বা মানচিত্রে আবদ্ধ না রেখে পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তে বিচরণ করতে দিয়ে প্রাচীন মৌলিক একটি সত্যকে অনুসন্ধানের মাধ্যমে উঠে এসেছে একটি জীবনচিত্র। আর এ চিত্রের চমৎকারিত্বে পাঠক বিমুগ্ধ হয়ে এ কাহিনী ধরে এগিয়ে যেতে থাকে। অনুভবের শিহরণ থেকে অনবদ্য একটি কাহিনী বা জীবনধারা পাঠককে আবিষ্ট করে রাখে।
বইটি পাওয়া যাচ্ছে বইমেলায় স্বরবৃত্ত প্রকাশনে। স্টল নম্বর ৩৮১-৩৮২। মূল্য মাত্র ২৫০ টাকা।
মন্তব্য করুন