জুলাই বিপ্লবের চার মাস পূর্তি উপলক্ষে আবৃত্তি সন্ধ্যা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিশ্বজ্ঞানালয়ের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং বিপ্লবী সাংস্কৃতিক ঐক্যের আহ্বায়ক মৃন্ময় মিজানের একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান “মৃত্যুকে আমি না বলে দিয়েছি” এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর ২০২৪) সন্ধ্যা ৬টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যান মুক্তমঞ্চে মৃন্ময় মিজান- এর একক আবৃত্তি অনুষ্ঠান “মৃত্যুকে আমি না বলে দিয়েছি” অনুষ্ঠিত হয়। আয়োজন করেছে আবৃত্তি বিশ্বজ্ঞানালয়।
আবৃত্তি সন্ধ্যায় জুলাই বিপ্লবের চার মাস পূর্তিতে শহীদদের স্মরণে আবৃত্তি পরিবেশন করা হয়। আবৃত্তিশিল্পী, লেখক, ব্লগার, অনলাইন একটিভিস্ট ও সংস্কৃতি সংগঠক মিন্ময় মিজানের একক আবৃত্তি সন্ধ্যায় মুগ্ধ হয় দর্শক–শ্রোতা।
এ আবৃত্তি সন্ধ্যায় তিনি ৪১টি কবিতা আবৃত্তি করেছেন। ‘এলো কে’, ‘বুলেটের জন্য মাতম’, ‘কথা ছিল’, ‘সুবিনয়’, ‘মৃত্যুকে আমি না বলে দিয়েছি’, ‘আমাকে তুমি দাঁড় করিয়ে দিয়েছ বিপ্লবের সামনে’, ‘আমি আসছি তোমার শহরে’, ‘সহস্রাব্দের খুনী’, ‘দিনগুলি মোর’, ‘এই মৃত্যু উপত্যকা আমার দেশ না’, ‘আবু সাঈদ বুক পেতে দাঁড়িয়ে আছে’, ‘অবাক দেশের প্রেম সংগীত’, ‘বৃশ্চিক লগ্ন’, ‘জন্ম মৃত্যু জীবন যাপন’, ‘ইতিহাসের নিলাম’, ‘তোমাকে পাওয়ার জন্য হে স্বাধীনতা ’ শীর্ষক কবিতাগুলোসহ ৪১ টি কবিতা আবৃত্তি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শিল্প ক্ষেত্রের সব মাধ্যমে বিচরণ মিন্ময় মিজানের। তিনি আবৃত্তি বিশ্বজ্ঞানালয়, আবৃত্তি একাডেমি, লিটল ম্যাগ অর্বাকের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা এবং স্বপ্নিক থিয়েটারের স্বপ্নদ্রষ্টা। অনলাইনে আবৃত্তির প্রথম স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর কোর্স চালু করেন তিনি।
কুড়িটিরও বেশি আবৃত্তি প্রযোজনায় নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তার নির্দেশনা ও গ্রন্থণায় প্রকাশিত আবৃত্তি এলবাম- এই দেশ এই মৃত্তিকা ও রুপালি সিঁড়িতে স্বর্ণ মাধুলী। তার প্রকাশিত উপন্যাস নীল ডুমুরের খেয়া ও ভাঙনের নেই পারাপার।
মৃন্ময় মিজানের কণ্ঠে কথা বলে মহাকাল। সকল ভাব ও রসের কবিতা তার কণ্ঠে ফুটে ওঠে সহজাত দক্ষতায়। বৈচিত্রপূর্ণ কণ্ঠের ব্যবহার আর নির্মাণের মুন্সিয়ানায় সুধী মহলে একটি বিশেষ স্থান তৈরি করে নিয়েছেন তিনি।
তার নির্দেশিত উল্লেখযোগ্য আবৃত্তি প্রযোজনা- সাজাহান, চোখে আঙুল দাদা, মেঘলা আলাপের ঘোর, এই দেশ এই মৃত্তিকা, বারুদগন্ধী মানুষের গান, মরিচঝাঁপি, আমি ছুঁয়েছি স্বাধীনতা, বৃশ্চিক লগ্ন, রুপালী সিঁড়িতে স্বর্ণমাধুলি,
দাবায়ে রাখতে পারবা না, বৃষ্টি জলের কাব্য, পুড়িয়ে দিবো নীল কারুকাজ ও শব্দের চোখে জল।
মন্তব্য করুন