৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব শুরু হচ্ছে আগামী ৪ ডিসেম্বর থেকে, চলবে ১১ ডিসেম্বর পর্যন্ত। উৎসবে থাকবে দেশ-বিদেশের বাছাই করা বিভিন্ন উন্নতমানের চলচ্চিত্র, যেমনটা প্রতি বছরই হয়।
বাংলাদেশি চলচ্চিত্রগুলো টানা কয়েক বছর কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশগ্রহণ করলেও এবারের উৎসবে থাকছে না দেশটির কোনো ছবি। এর ফলে ভারাক্রান্ত কলকাতার সিনেপ্রেমী বাঙালি।
সূত্র জানিয়েছে, ঢাকার শঙ্খ দাশগুপ্তের ‘ডিয়ার মালতি’ চলচ্চিত্রটি ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রতিযোগিতায় পাঠানো হয়েছিল। তবে সেটি নির্বাচিত হয়নি।
চলতি বছরের ৩০তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মোট ১৫টি বিভাগ রয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল কম্পিটিশন, ন্যাশনাল কম্পিটিশন, এশিয়ান সিলেক্ট, বেঙ্গলি-প্যানোরামা, সিনেমায় ইন্টারন্যাশনাল, স্পেশাল স্ক্রিনিং, আনহার্ড ইন্ডিয়া (ইন্ডিয়ান রেয়ার ল্যাঙ্গুয়েজ), পরিবেশমূলক ছবি, ক্রীড়া বিষয়ক ছবি, জন্মশতবর্ষের ছবি, বিশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য, ন্যাশনাল কম্পিটিশন অন শর্ট ডকুমেন্টরি ফিল্ম, রেট্রোস্পেকটিভ, সত্যজিৎ রায় মেমোরিয়াল লেকচার। এছাড়া মাস্টার ক্লাস, সেমিনার, ওয়ার্কশপ, রেট্রোস্পেকটিভ, ট্রিবিউটসহ আরও বেশ কিছু বিভাগও থাকছে।
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগে ১৪টি ছবি মনোনীত হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফ্রান্স, বুলগেরিয়া, জাপানসহ বিভিন্ন দেশের চলচ্চিত্র। ইরানি চলচ্চিত্র পরিচালক জাফর পনাহির সম্পাদনায় নাদের সেইভারের পরিচালনায় তৈরি ‘দ্য উইটনেস’ ছবিটি রয়েছে প্রতিযোগিতায়, যা ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হয়েছিল। এছাড়াও আশিস অভিকুন্তকের ‘বিধ্বস্ত’ রয়েছে এই তালিকায়। কিন্তু নেই একটিও বাংলাদেশি ছবি।
বিগত বছরগুলোতে বাংলাদেশের ‘কুড়া পাখির শূন্যে উড়া’ সেরা আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে গোল্ডেন রয়েল বেঙ্গল টাইগার পুরস্কার পেয়েছিল। এছাড়া এশিয়ান সিলেক্ট বিভাগেও বেশ কিছু বাংলাদেশি ছবি মনোনীত হয়েছিল, যার মধ্যে ছিল সৈয়দা নিগার বানুর ‘নোনা পানি’।
পরিচালক মেজবাউর রহমানের ‘হাওয়া’ চলচ্চিত্রটি কলকাতার দর্শকদের কাছে ব্যাপক প্রশংসা পায় এবং অতিরিক্ত শো আয়োজন করতে হয়েছিল। কিন্তু এবারের উৎসবে বাংলাদেশের কোনো ছবি না থাকায় কলকাতার সিনেপ্রেমী বাঙালির মধ্যে হতাশা দেখা দিয়েছে।
এর আগে, ২০২৫ সালে অনুষ্ঠিতব্য ৪৮তম আন্তর্জাতিক কলকাতা বইমেলায় বাংলাদেশের অংশগ্রহণ নিয়ে ধোঁয়াশা দেখা দেয়। কারণ বিদেশি বুক স্টলের তালিকায় নাম পাওয়া যায়নি বাংলাদেশের। ফলে বাংলাদেশকে বাদ রেখেই শুরু হতে পারে পরবর্তী কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা।
মন্তব্য করুন