আধ্যাতিক সাধক ফকির লালন সাঁইয়ের ১৩৪তম তিরোধান দিবস ১৭ অক্টোবর। তিরোধান দিবস উপলক্ষে কুষ্টিয়ার ছেঁউড়িয়া আখড়া বাড়িতে শুরু হচ্ছে লালন স্মরণোৎসব। এরই মধ্যে মাজার প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছেন ভক্ত সাধু, লালন অনুসারী, আর দর্শনার্থীরা।
ভাববাদী লৌকিক ধর্ম-সম্প্রদায়ের সাধন সংগীত স্রষ্টা বাউল সম্রাট লালন ফকির। চৈত্রের এক দোলপূর্নিমার দিনে দুরারোগ্য এক ব্যাধি নিয়ে লালন সাঁইয়ের আবির্ভাব ঘটেছিলো ছেঁউড়িয়ার কালী নদীর ঘাটে।
সাঁইজি দেহত্যাগের পর তার স্মৃতিকে ধরে রাখার জন্য এবং মরমিবাণীকে প্রচার করার জন্য তার অনুসারীরা এই দিনটিতে তাকে বিশেষ ভাবে স্মরণ করেন। তারই ধারাবাহিকতায় শুরু হচ্ছে লালন স্মরণোৎসব।
আগামী বৃহস্পতিবার (১ কার্তিক, ১৭ অক্টোবর) আনুষ্ঠানিকভাবে স্মরণোৎসব উদ্বোধন করা হবে। চলবে শনিবার (১৯ অক্টোবর) পর্যন্ত। উৎসব ঘিরে লালন আখড়া বাড়িতে সব প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। মাজার সাজানো হয়েছে বর্ণিল সাজে। ভেতরে বসেছে বাউল ফকিরদের আসর আর কালি নদীর পাড়ে বসেছে বিশাল মেলা। লালন মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে আলোচনা সভা ও রাতভর লালন গানের জন্য।
লালন শাহের তিরোধান দিবস উপলক্ষে আয়োজিত স্মরোণোৎসব কেন্দ্রে একদিকে চলছে শিল্পীদের গান পরিবেশনের প্রস্তুতি।, অন্যদিকে সাধু-গুরুরা ব্যস্ত সময় পার করছে তাদের প্রাণপুরুষকে স্মরণ করতে। সেই সঙ্গে লালন মেলা ঘিরে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আগত দোকানিরা পসরা সাজাতে এখন দিন-রাত কাজ করছেন কালী নদীর বিস্তীর্ণ জায়গা জুড়ে।
মন্তব্য করুন